করোনা কতটা ভয়াবহ, এরা বুঝতে চায় না! শুধু চায় খেয়ে পড়ে বাঁচতে। অভাবী সংসারের চাকাটাকে সচল রাখতে তাই মুখিয়ে থাকে কাজের জন্য। গ্রামে কোন কাজ নেই। কৃষকরা কাজ হারিয়েছে চাষের জমি কমে যাবার জন্য। লকডাউন তাঁতিদের কর্মচ্যুত করেছে। রাজমিস্ত্রী জোগাড়েরা ঘরে বসা। ঘর করে পয়সা খরচ করার সাহস হারিয়েছে গ্রামীণ নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষরা। তাই আর নয়, কাজের পুরনো জায়গা থেকে কেউ কাজের খবর দিলেই পা তুলে দেবে তারা। ভয় একটুও হবে না করোনার জন্য। আখের আলি বলে, “এমনিতেই তো না খেয়ে মরছি, করোনা আর কী করবে?” তাই তারা আবার অনেকে মিলে ভিন রাজ্যে যাবার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। আমিনের নেতৃত্বে প্রায় ৪০জন শ্রমিক ১লক্ষ ৪০হাজার টাকা দিয়ে বাস ভাড়া করে হায়দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরে গত ১৯ তারিখে।
এখনও কেন বন্ধ লোকাল ট্রেন ? – চরম ক্ষতির মুখে ফুলিয়ার ছানা ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন একটাই।
কলকাতার মিষ্টান্ন তৈরির মূল কাঁচামালটা দূর মফস্বলের ফুলিয়া থেকে সাপ্লাই হয়। লোকাল ট্রেন না চালানোয় এই সাপ্লাই-এ প্রচন্ড অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ট্রেন চালু থাকলে শান্তিপুর- শিয়ালদা লাইনে দুপুর ১-১২ ও ২-২২ -এর ট্রেনে অন্তত ৫০০ জন প্রতিদিন শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ছানা নিয়ে যেতেন। রেলের একটা বিরাট রেভিনিউ থাকত। ৫৩৫ টাকা ভেন্ডার টিকিট ও মাল বুকিং সহ একটা বিরাট অঙ্কের টাকা আসত ছানা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ব্যবসায়ীদের মাল নিয়ে যাওয়ার কোনো চিন্তা থাকতো না।
ওস্তাগরের দলিজে কামধান্দার খোঁজে বিহার থেকে ফিরছেন শ্রমিকরা
আমরা পনেরো বছর ধরে এই লাইনে আছি, একটা তজরুবা হয়ে গেছে। যদি কাল আচ্ছা কাম কিছু পাই তো এটা ছেড়ে দেব। এক-একটা বস্তা সত্তর-আশি কেজি ওজন। আমরা ভ্যানে করে ওস্তাগরদের ঘর থেকে নিয়ে আসি, কোম্পানি লরিতে করে নিয়ে যায়। বয়স্ক লোক এই কাজ করতেই পারবে না। কেউ হয়তো এখান থেকে থোড়া পুঁজি বানিয়ে গ্রামে ছোটামোটা দোকান চালাচ্ছে।
তাঁতী এমনিতে ভালো কিন্তু অভিমান বিশাল
লকডাউনের ফলে কাপড়ের হাট বন্ধ হয়ে যায়, মহাজন কাপড় নেওয়া বন্ধ করে দেয়, বন্ধ হয়ে যায় বাইরে থেকে সুতো আসা। স্থানীয় দোকানেও সুতোর আকাল শুরু হয়ে যায়। একদিকে সুতোর অভাব, অন্যদিকে কাপড় বিক্রি বন্ধ হবার ফলে খোকন দেবনাথের তাঁত বন্ধ হয়ে যায়। তাঁতিরা অসুবিধার মধ্যে পড়ে যায়। নিজের তাঁতি অর্থাভাবে নানা সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন, তাই দেখে ধার দেনা করে নিজের থেকে তাদের সামান্য সাহায্যের চেষ্টাও প্রথম দিকে হয়তো করেন। কিন্তু লকডাউনের বহর ক্রমশ বাড়তেই থাকে। তাতে সমস্যা তীব্র হতে থাকে খোকন দেবনাথের। মানসিকভাবে চরম চাপে পড়ে যান।
ট্রেন চললে আবার কাজে যোগ দেবেন বাদলদা
লকডাউনে কাজ হারানো মানুষের স্কেচ আঁকছেন সুমিত সুমিত দাস। শান্তিপুর। ৩০ জুলাই, ২০২০।# বাদলদা আজকের মেনু কী? হাসিমুখে জানতে চায় বুড়োদা। -‘গতকাল ডিম হয়েছে। আজ সোয়াবিনের তরকারি আর ভাত।’ লকডাউনের সময়ে কাশ্যপপাড়া বারোয়ারির ক্লাবের পেছনে খোলা হয়েছিল কমিউনিটি কিচেন। ২৪ শে মার্চ থেকে ৫ ই জুন চলে এই হেঁশেল। প্রতিদিন মোটামুটি ৫০ টি পরিবার এখান […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য