শান্ত পাহাড়ের বুকে এখন বুক কাঁপানো গর্জন মেশিনের। বড়ো বড়ো জেসিবি মেশিন দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে। দুপাশে হাজার হাজার বৃক্ষ উপড়ে ফেলা হচ্ছে প্রতিদিন। ট্রাকে বোঝাই হয়ে সেই কাটা গুঁড়িগুলো চলে যাচ্ছে শিলিগুড়ির দিকে। হাইওয়ে তৈরি হচ্ছে। লোকের মুখে জানতে পারি, এই হাইওয়ে যাবে কালিম্পঙ জেলার মধ্য দিয়ে সিকিম-সীমান্তে নাথু-লা পর্যন্ত। ভারত-চীন সীমান্তে যে গোলযোগের কথা আমরা গত কয়েক বছর ধরে শুনছি, সেখানে চীনের সঙ্গে সামরিক মোকাবিলা করার আয়োজনের অঙ্গ এই দীর্ঘ হাইওয়ে। পাকদণ্ডীর মাঝে মাঝেই সরকারি সাবধানবার্তা, ধসপ্রবণ পাহাড় এই বিপুল কর্মযজ্ঞে হয়ে উঠেছে আরও বিপদসংকুল। তবে স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে কিছু জানতে পারি না — সেন্ট্রাল থেকে দেশরক্ষার জন্য চার বছরের প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে, এ নিয়ে কে আর কী বলবে
ভয় হয়, সাইকেলটা পারবে তো ফুলের ভার বইতে
আবার প্রাইভেট টিউশন তাদের মুখমন্ডল দেখিয়েছে। শুধু স্কুলটাই বন্ধ।
যেখানে অধিকাংশ চাষিই ভাগচাষি, সেখানে কর্পোরেটদের সাথে চাষির চুক্তি হবে কী করে?
অমিত কিন্তু ফড়ে তথা আড়ৎদারদের পক্ষে দাঁড়ায়। এই আড়ৎদাররাই তো চাষের সময় চাষিকে কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করে। সরকারি লোককে তখন আমরা পাব কোথায়? আবার ফসল বিক্রির সময় সরকারি লোকেদের সময় মত পাওয়া যায়না। অগত্যা আড়ৎদারই ভরসা। আর সরকারি প্রতিনিধিরাও নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে সেই আড়ৎদারদের থেকেই কেনে। কারণ সর্ষের ভিতরেই ভূত।
অমিত বলে, কৃষিবিল আসলে চাঁদার বিল না অন্যকিছু তা এখানকার চাষি জানেনা, জানতেও চায়না। সে যেভাবে বোঝে, সেভাবেই চাষ করে। কৃষিদপ্তর আর কৃষকের জমির মধ্যে থেকে যায় অনেক ফাঁক।
এমন দিন আসছে, যখন আপনি মানিব্যাগ খুলে ভাড়া দিতে পারবেন না। ছিনতাই হয়ে যাবে।
সাধারণ মুদিখানার আয় ২৫-৩০ শতাংশ কমেছে।
মিস্টির দোকানের আয় ৫০ শতাংশ কমেছে।
সবজির দোকানের বেচাকেনা ভালো না। শতাংশ হিসেব জানা সম্ভব হয়নি। ভ্যান রিক্সার আয় অনিয়মিত। দিনে ১০০-১৫০ টাকা। নির্মাণ কর্মীদের মজুরির দাম ঠিক আছে। কাজ অনিয়মিত। মাছের বাজার ভালো না। খরিদ্দার কম। পোল্ট্রি মাংসের বাজার ভালো। মাছ মাংস বিক্রেতাদের আয় জানা সম্ভব হয়নি। কলা বিক্রেতাদের ব্যবসা খারাপ আমফানের কারণে।
সবারই আয় বুঝে খরচ। ধারদেনার কথা স্পষ্টভাবে কেউ বলতে চায়নি। যারা টাকা ধার দেওয়ার কারবার চালায়, তারা জানিয়েছে- ধার নেবার লোকের সংখ্যা কমেছে। লোক বুঝে ধার দেওয়া হচ্ছে। টাকা শোধ দেওয়া অনিয়মিত। সরকারের কাছ থেকে কেউ কেউ বার্ধক্যভাতা, বিধবা ভাতা, শিল্পীভাতা, আমফানের ক্ষতিপূরন বাবদ টাকা পাচ্ছে। চাল, গম পাওয়া যাচ্ছে। তা বিক্রি করে কিছু টাকা পাওয়া যাচ্ছে। আগামীদিন কীভাবে চলবে কেউ স্পষ্ট কিছু জানেন না।
- 1
- 2
- 3
- …
- 5
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য