একসময় মুর্শিদাবাদ ছিল অবিভক্ত বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার রাজধানী। রাজার দেশ। এখন রাজমিস্ত্রির জেলা। জেলার লক্ষ লক্ষ শ্রমিক নির্মানশিল্পে সারা দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে। এমনকি বিদেশেও। নিজের রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও রাজমিস্ত্রির কাজে যুক্ত। দুবাইতে বিশ্বের সর্বোচ্চ বাড়িটি (বার্জ খলিফা) তৈরিতেও বেলডাঙ্গা তথা মুর্শিদাবাদের রাজমিস্ত্রিদের বিরাট ভূমিকা। কলকাতায় নাখোদা মসজিদের সংস্কারের জন্যও ডাক পড়ে মুর্শিদাবাদের মিস্ত্রির। মুর্শিদাবাদের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ মানুষই জেলার বাইরে পরিযায়ী শ্রমিক। এই শ্রমিকদের দেশে বিদেশে নির্যাতিত হতে হয়। ফলে কখনো কখনো তাদের মৃত্যুও হয়। নানান অপবাদ তাদের ভাগ্যে জোটে।
‘গান গাইবি না, খাবারও পাবি না’// ফ্রান্সের মেনিল আমেলো’র ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে অভিবাসীদের এজাহার
পুলিশ এসে বিড়বিড় করছিল, দমকলে ফোন করা, না? ঠিক আছে, দেখা যাক। তারপর সোজাসুজি আমাকেই প্রশ্ন, ‘তুই তো সবার থেকে একটু ভালোই ফরাসী জানিস। তুইই করেছিলি ফোনটা, না?’ আমি বললাম, ‘মোটেই না। মেয়েটা নিজেই করেছিল। ওর শরীরের মধ্যে কী হচ্ছে আমি বুঝব কী করে?’ একটা মেয়ে পুলিশ তেড়ে এল। এক চড় কষাতে। আমি চুপ করে যাই। ঘরে ঢুকে পড়ি। ‘-বেশ। কোভিড পরীক্ষা না করালে তিন মাস জেলে থাক’। ভোর চারটের দিকে ওরা ফের আমার ঘরে ঢোকে। দরজা যেহেতু ভাঙা, জানিয়ে ঢোকার প্রশ্নই নেই। আমি ধড়ফড় করে জেগে উঠি বিছানায়। ইতিমধ্যে ওখানে তখন…
যোগ্যতা না বাছাই পদ্ধতি – চাকরি পাওয়ার শর্তটা কী?
সুতপার দাবী, যদি এতো খেটে পরীক্ষা দিয়ে শেষমেশ এমন কঠিন নিয়মের জালে আটকে পড়তে হয় তাহলে এই নিয়মের কাজটি আগে ঘটিয়ে পরে পরীক্ষার ব্যাপারটি ঘটালে ভালো হয় না? একটা কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্যে যদি দেহের মাপজোক, বোধবুদ্ধির থেকে বেশি দরকারি হয়, তাহলে সেই দৈহিক সক্ষমতার হিসেব-নিকেশ আগে করলেই হয়। তাহলে অন্তত তাদের পরীক্ষা দেওয়ার চাপটা কমে যায়।
বাঙালোর বিফের কদর রইল না আর কর্ণাটকের নয়া আইনে
আমাদের আশেপাশে কিন্তু মুসলমান মানুষ থাকেন না। ক্রিশ্চানও থাকেন না, হিন্দুও না। আমার আশেপাশে প্রচুর মানুষ থাকেন, যাদের মধ্যে কিছু মানুষ খারাপ, কিছু ভালো। আমার সবচেয়ে কাছের যে প্রতিবেশি, তার নাম যিশুকেষ্ট। চার্চ অফ সাউথ ইন্ডিয়া, সিএসআই এর একটা চার্চ, ঠিক আমার পাশের বাড়িটা। এই চার্চের দোরগোড়ায় এসে সবচেয়ে বেশি যারা ভিক্ষা চায়, তারা প্রত্যেকে মুসলমান। এই জায়গাটা আগে তুলনামূলক গরীব ছিল। এখন পাল্টাচ্ছে। অনেক অ্যাপার্ট্মেন্ট তৈরি হচ্ছে। পাঁচ ছ’বছর আগে এই এলাকাটা থেকে একটু দূরে যেখানে ভাড়া থাকতাম, সেখানেও প্রচুর মুসলমান মানুষ থাকতেন। বাঙালি আমি একাই ছিলাম না, মুর্শিদাবাদ থেকে প্রচুর মানুষ এখানে আসেন, থাকেন। বেকারিতে কাজ করেন, কিম্বা দর্জির। এই মহল্লায় সবাই আমায় ব্যানার্জি দা বলেই ডাকেন।
NIA অভিযানের নামে হানাদারদের পরিচয়ের প্রমাণ নেই। কিন্তু দুর্বল মুসলিম যুবকদের আলকায়দা যোগের প্রমাণ আছে?
ঘরে ঢুকেই নাবালক ছেলেটিকে চড়, থাপ্পর মারতে থাকে। সুফিয়ানের স্ত্রী নুরুন্নেসা ভয় পেয়ে লুকিয়ে পড়েন এবং আবু নিজে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চারি দিকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। চড়, থাপ্পর ছাড়াও, ডামাট (কোদালের কাঠের হাতল) দিয়ে হাতে-পায়ের আঙ্গুলে খুব মারা হয়। মেজ ছেলের বয়স দশ। তারও চুলের মুঠি ধরেছিল পুলিশ। ওয়াসিমের কথা মোতাবেক জনা ৩০/৪০ পুলিশ ছিল, যাদের মধ্যে এক জন মহিলা, দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার, বাকিরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ান এবং সাদা পোশাকের। তবে কারও গায়ে সে বা তার মেজ আব্বা জিন্নাতুলের চোখে পড়েনি কারও পোশাকে নাম, পদ-মর্যাদা লেখা আছে কিনা। সুফিয়ানকে গাড়িতে তুলে জলঙ্গিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শিবিরে নিয়ে যায়। জিন্নাতুলকেও সঙ্গে যেতে বাধ্য করে। সকাল হলে তাঁকে বাস ভাড়া দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। তার আগে কিছু কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এখন তিনি ও পরিবারের লোকেরা বলছেন, আবু কোথায় আছেন, কেমন আছেন সেটা জানতে পারছেন না। কিছু জিনিস বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে, কিন্তু তার কোন তালিকা দেওয়া হয়নি এবং তাঁরাও জানেন না কি কি নিয়ে গিয়েছে।
- 1
- 2
- 3
- …
- 50
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য