আমাদের আশেপাশে কিন্তু মুসলমান মানুষ থাকেন না। ক্রিশ্চানও থাকেন না, হিন্দুও না। আমার আশেপাশে প্রচুর মানুষ থাকেন, যাদের মধ্যে কিছু মানুষ খারাপ, কিছু ভালো। আমার সবচেয়ে কাছের যে প্রতিবেশি, তার নাম যিশুকেষ্ট। চার্চ অফ সাউথ ইন্ডিয়া, সিএসআই এর একটা চার্চ, ঠিক আমার পাশের বাড়িটা। এই চার্চের দোরগোড়ায় এসে সবচেয়ে বেশি যারা ভিক্ষা চায়, তারা প্রত্যেকে মুসলমান। এই জায়গাটা আগে তুলনামূলক গরীব ছিল। এখন পাল্টাচ্ছে। অনেক অ্যাপার্ট্মেন্ট তৈরি হচ্ছে। পাঁচ ছ’বছর আগে এই এলাকাটা থেকে একটু দূরে যেখানে ভাড়া থাকতাম, সেখানেও প্রচুর মুসলমান মানুষ থাকতেন। বাঙালি আমি একাই ছিলাম না, মুর্শিদাবাদ থেকে প্রচুর মানুষ এখানে আসেন, থাকেন। বেকারিতে কাজ করেন, কিম্বা দর্জির। এই মহল্লায় সবাই আমায় ব্যানার্জি দা বলেই ডাকেন।
NIA অভিযানের নামে হানাদারদের পরিচয়ের প্রমাণ নেই। কিন্তু দুর্বল মুসলিম যুবকদের আলকায়দা যোগের প্রমাণ আছে?
ঘরে ঢুকেই নাবালক ছেলেটিকে চড়, থাপ্পর মারতে থাকে। সুফিয়ানের স্ত্রী নুরুন্নেসা ভয় পেয়ে লুকিয়ে পড়েন এবং আবু নিজে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চারি দিকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। চড়, থাপ্পর ছাড়াও, ডামাট (কোদালের কাঠের হাতল) দিয়ে হাতে-পায়ের আঙ্গুলে খুব মারা হয়। মেজ ছেলের বয়স দশ। তারও চুলের মুঠি ধরেছিল পুলিশ। ওয়াসিমের কথা মোতাবেক জনা ৩০/৪০ পুলিশ ছিল, যাদের মধ্যে এক জন মহিলা, দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার, বাকিরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ান এবং সাদা পোশাকের। তবে কারও গায়ে সে বা তার মেজ আব্বা জিন্নাতুলের চোখে পড়েনি কারও পোশাকে নাম, পদ-মর্যাদা লেখা আছে কিনা। সুফিয়ানকে গাড়িতে তুলে জলঙ্গিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শিবিরে নিয়ে যায়। জিন্নাতুলকেও সঙ্গে যেতে বাধ্য করে। সকাল হলে তাঁকে বাস ভাড়া দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। তার আগে কিছু কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এখন তিনি ও পরিবারের লোকেরা বলছেন, আবু কোথায় আছেন, কেমন আছেন সেটা জানতে পারছেন না। কিছু জিনিস বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে, কিন্তু তার কোন তালিকা দেওয়া হয়নি এবং তাঁরাও জানেন না কি কি নিয়ে গিয়েছে।
গৌরী লঙ্কেশ খুনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি। ক্যাম্পেনের নাম : ‘যদি আমরা উঠে না দাঁড়াই’।
সারা দেশে প্রায় পাঁচশোটা গ্রুপ হাত মিলিয়েছে। হিমাচলে সিপিআই, সিপিএম, মাওবাদী ঘেঁষা গ্রুপ, যারা কখনো একসঙ্গে কাজ করে না তারা সকলে ছিল; সামাজিক সংগঠন, এনজিওগুলো ছিল। ‘ইগালেটেরিয়ান ট্রেইলস’ নাম দিয়ে আমরাও কয়েকজন বন্ধু ছিলাম। এই নামে তিব্বতীদের নিয়েও আমরা এর আগে কাজ করেছি।
ন্যায় বিচারের দাবীতে ২৩৮ দিন অনশনে তুর্কি আইনজীবীর মৃত্যু
মূলত তুর্কি সরকার রাজনৈতিক কারণে যাদের গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটক দেখিয়ে বছরের পর কারাগারে রাখে, ইবরুদের এই আইনী সংগঠনটি ওই সব জেলবন্দীদের হয়ে বিনা পয়সায় আইনি লড়াই লড়েন। আদালতে এবং মাঠে।
মাথার উপর থেকে ছাদটাই কেড়ে নিলে মাথা তুলে দাঁড়াবেন কোথায়?
অতিমারীর সময় যখন সরকার দেশের সমস্ত নাগরিকদের ঘরে থাকার নিদান দিচ্ছে প্রতিদিন, তখন দেশের কোথাও না কোথাও প্রতি ঘন্টায় ২৫ জন করে ঘর ছাড়া হচ্ছেন। উচ্ছেদ ও ঘরভাঙা হচ্ছে যথাক্রমে ৫২০ জন ও ১১০ টি। মহামারীর সময় জোর করে উচ্ছেদ হয়েছে মার্চ থেকে জুলাই মাসে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। ২০১৭-১৯ সালে বাড়ি ভাঙা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার। এই সময় পর্বে অর্থাৎ তিন বছরে প্রায় ছ’লাখ মানুষকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বলা বাহুল্য দেশের গরীব, প্রান্তিক স্তরের মানুষ এই উচ্ছেদের শিকার।
- « Previous Page
- 1
- 2
- 3
- 4
- …
- 51
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য