আমার কথা হল, আমরা কৃষকরা চাষ করব, আমাদের ফসল আমরা কৃষকরা বেচব, আমি একজনের হাতে তুলে দেব কেন? তার হেল্লা হয়ে আমি চাষ করব কেন? তুমি পুঁজি দেবে, আমি চাষ করব? আমার পুঁজি নেই? তোমার গোলায় ফসল তুলে দেব কেন? লস হলে আমায় মেনে নিতে হবে।
বাঙালোর বিফের কদর রইল না আর কর্ণাটকের নয়া আইনে
আমাদের আশেপাশে কিন্তু মুসলমান মানুষ থাকেন না। ক্রিশ্চানও থাকেন না, হিন্দুও না। আমার আশেপাশে প্রচুর মানুষ থাকেন, যাদের মধ্যে কিছু মানুষ খারাপ, কিছু ভালো। আমার সবচেয়ে কাছের যে প্রতিবেশি, তার নাম যিশুকেষ্ট। চার্চ অফ সাউথ ইন্ডিয়া, সিএসআই এর একটা চার্চ, ঠিক আমার পাশের বাড়িটা। এই চার্চের দোরগোড়ায় এসে সবচেয়ে বেশি যারা ভিক্ষা চায়, তারা প্রত্যেকে মুসলমান। এই জায়গাটা আগে তুলনামূলক গরীব ছিল। এখন পাল্টাচ্ছে। অনেক অ্যাপার্ট্মেন্ট তৈরি হচ্ছে। পাঁচ ছ’বছর আগে এই এলাকাটা থেকে একটু দূরে যেখানে ভাড়া থাকতাম, সেখানেও প্রচুর মুসলমান মানুষ থাকতেন। বাঙালি আমি একাই ছিলাম না, মুর্শিদাবাদ থেকে প্রচুর মানুষ এখানে আসেন, থাকেন। বেকারিতে কাজ করেন, কিম্বা দর্জির। এই মহল্লায় সবাই আমায় ব্যানার্জি দা বলেই ডাকেন।
পথচলতি জটলা থেকে প্ল্যাটফর্মের সভা – সব পথ মিলে যাচ্ছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে- দিল্লির কৃষক জমায়েতে
হঠাৎই কানে গেল, জমায়েতের বাইরে দাঁড়িয়ে কেউ কিছু বলছেন। আমি বললাম, বাইরে না, জমায়েতেই আপনি আপনার কথা বলুন। অনুরোধ জানালাম। নিজের কথা শুরু করলেন শেখ ওসমান : আমার দর্জিভাইদের বলি। আমরা যে কাপড় সেলাই করি, বলো তো সেই কাপড় কী দিয়ে তৈরি হয়? জমায়েত থেকে উত্তর এল — ‘সুতো’। — সুতো কোত্থেকে আসে? — ‘তুলো থেকে’। — আর এই তুলো আসে আমাদের চাষিভাইদের কাছ থেকে। তাদের পেটে লাথি পড়েছে। আমরা কি চুপ করে থাকব?
নিজেদের চাষের খবর দিলেন, দিল্লির আন্দোলনের খবর নিলেন সরবেড়িয়ার চাষিরা
চাষি আর বীজ জমিয়ে রাখেনা। দোকানে যায় বীজ কিনতে। সেখানে অনেক ফলন, অনেক লাভের হাতছানি। সেই বীজের চরিত্রের হদিস জানা নেই কৃষকের। বীজ কোম্পানি, সার কোম্পানি, কীটনাশক কোম্পানির মাতব্বরির খপ্পরে পড়ে জগদ্দলের ওজন বাড়ে চাষির ঘাড়ে। এবারে বাজারে আলুর দাম উঠেছিল কেজি প্রতি চল্লিশ পঞ্চাশ। অথচ চাষি পায় পাঁচ বা ছয় টাকা। জানা গেল এই সব। চাষির ছেলে কেন চাষি হতে চায় না, তার হিসেব নিকেশ খুঁটিনাটি।
শিল্পাঞ্চলের দূষিত জল আর মানুষের ভিড়ে প্রমাদ গুনছে বরতি বিলের পাখিরা
বরতির বিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি উল্লেখযোগ্য জলাভূমি, যেখানে ব্যারাকপুরের মত একটি শিল্পাঞ্চলের বুকে জলাভূমিটি কিডনির মতন দাঁড়িয়ে একটি সুস্থ পরিবেশ এবং তার জীববৈচিত্রকে অক্ষুন্ন রাখছে। আরেকটি উল্লেখ্য বিষয়, এখানকার চাষিদের মধ্যে যতটা সম্ভব পাখিদেরকে বিরক্ত না করে কাজ করার প্রবণতা দেখা গেছে।
- « Previous Page
- 1
- 2
- 3
- 4
- 5
- 6
- …
- 283
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য