এখানে যারা গাইতে এসেছেন, যারা বাজনদার, যারা শ্রোতা-দর্শক সবাই রসিক মানুষ। তারা অল্পবিস্তর পাগলও বটে — নইলে এই গোরভাঙায় আসবে কেন — তবে যেন ওই লোকটির মতো নিখাদ নয়। নানান মাপের সেয়ানাগিরি আমাদের মনে ছায়া ফেলে — কেরিয়ার, পিএইচডি, বাউল-ফকিরের মেকআপে শিল্পী হয়ে ওঠা, সা-রে-গা-মা-পা … অথচ ওই লোকটির চোখ বলছে ওঁর অন্তর্দৃষ্টি স্থির, ভেতরে বইছে অনন্ত সংগীত : রস মন্দ মন্দর বাজতা …
স্কুলফাঁকি দিল কারা- উত্তর খুঁজতে এগারো মাস পর খোলা স্কুলে
ইলেভেন টুয়েলভের প্রজেক্ট জমা দিতে, বা ট্যাব কিনে তার বিল জমা দেওয়ার জন্য নিয়ম-বহির্ভূতভাবেই ওরা স্কুলে এসেছে বারবার। কোনো বাধানিষেধের তোয়াক্কা করেনি কিছুতেই। কিন্তু নিয়মিত ক্লাসের জন্য একে একে এগারোটা মাস চলে গেছে; অপেক্ষায়। তারপর? নাইন থেকে টুয়েলভের ক্লাস শুরু, নিয়মিত স্কুল শুরু। ফিরছে ওরা। বিভিন্ন জেলায় গ্রামের দিকে উঁচু ক্লাসগুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সংখ্যা দর্শনীয়ভাবে কম। ব্যক্তিগতভাবে যেটুকু জানা যাচ্ছে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের প্রবণতা এই বছরে বিগত কয়েকবছরের মধ্যে সর্বাধিক।
‘নমামি গঙ্গা’-র পর এসেছে ‘অতুল্য গঙ্গা’
মূল বিষয়টা হল রিজুভিনেটিং গঙ্গা অর্থাৎ গঙ্গার তারুণ্য বা সজীবতা ফিরিয়ে আনা। এটা তো বর্তমান ভারতে দাঁড়িয়ে বেশ কঠিন কাজ, যেখানে এত বাঁধ হচ্ছে, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে এবং আরও নদী-বিরোধী কাজ হয়ে চলেছে। এ নিয়ে কথা বলার সুযোগ সেদিন ছিল না। গঙ্গা নিয়ে যে হরিদ্বারের মাতৃ সদন আশ্রমে দীর্ঘ সময় ধরে একটা কাজ চলছে, সন্ন্যাসিরা আন্দোলন করে প্রাণ দিয়েছেন, এসব বিষয় ওঁদের নজরে আছে বলে মনে হল না। কথা বলা হয়নি। কিন্তু আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম যে এই যে সফর করছেন, এর কি কোনো রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে? — এটা কোথায় জমা করবেন? ওঁরা বললেন — পিএমও-তে; অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে।
সরকার যখন দুয়ারে – শ্রমিকরা তখন কাজের খোঁজে দূরে
একসময় মুর্শিদাবাদ ছিল অবিভক্ত বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার রাজধানী। রাজার দেশ। এখন রাজমিস্ত্রির জেলা। জেলার লক্ষ লক্ষ শ্রমিক নির্মানশিল্পে সারা দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে। এমনকি বিদেশেও। নিজের রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও রাজমিস্ত্রির কাজে যুক্ত। দুবাইতে বিশ্বের সর্বোচ্চ বাড়িটি (বার্জ খলিফা) তৈরিতেও বেলডাঙ্গা তথা মুর্শিদাবাদের রাজমিস্ত্রিদের বিরাট ভূমিকা। কলকাতায় নাখোদা মসজিদের সংস্কারের জন্যও ডাক পড়ে মুর্শিদাবাদের মিস্ত্রির। মুর্শিদাবাদের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ মানুষই জেলার বাইরে পরিযায়ী শ্রমিক। এই শ্রমিকদের দেশে বিদেশে নির্যাতিত হতে হয়। ফলে কখনো কখনো তাদের মৃত্যুও হয়। নানান অপবাদ তাদের ভাগ্যে জোটে।
সকালের ডাউন রানাঘাট লোকালে ‘জয় শ্রীরাম’ / ‘ভারতমাতা কী জয়’ গর্জন আর শোনা যাচ্ছে না
এখন তার জায়গা নিয়ে অমিতাভ বচ্চনের ভারী গলায় হিন্দিতে করোনার সতর্কবাণী। “যবতক দাবাই নেহি, তবতক ঢিলাই নেহি” পাল্টে এখন যেটা বোঝাতে চাওয়া হচ্ছে — ভ্যাকসিন এসে গেছে, তবু মুখোশ পরে থাকতে হবে। দেখলাম, নিত্যযাত্রীরা বিরক্ত এই ঘোষণায়। অনেক নিত্যযাত্রীই সকালের ট্রেনে উঠে একটু ঘুমিয়ে নেয়। মিঠে গান হলে তাদের ঘুম তোফা হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে অমিতাভ বচ্চনের গলার আওয়াজ তাদের পক্ষে বেশ বিরক্তিকর। কেউ কেউ বলছে — বচ্চনের পরিবারের সবাই তো করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাহলে ও এত বড় বড় কথা বলছে কেন?
সাম্প্রতিক মন্তব্য