আমি বলি, সাবঅল্টার্নরা কথা বলতে পারে। এবং তারা কথা বলতে পারে সম্ভ্রমের সঙ্গে। আপনারা কি শোনার জন্য তৈরি? আপনারা তো কখনোই শুনতে চাননি — রাহুল সোনপিম্পলে।
তিনি ইচ্ছে করে একমাস ধরে চুপচাপ ছিলেন। কারণ এই দলিত গবেষকদের সঙ্গে নেমে এসে কথা বলতে তার বাধছিল। দলিত শিক্ষকরা আমাদের নিজেরাই এসে বলেছেন, ওই উপাচার্য একজন জাতকুলীন — ওঁর মাথায় সেই ঔদ্ধত্যটা গেঁড়ে বসে আছে। ও তোমাদের সঙ্গে এসে কথা বলবে না।
তার এই চিঠিটিতে কোথাও বাঙ্ময় নেই তাই নিপীড়িত সত্ত্বার কথা, কিন্তু ছেয়ে আছে গোটাটা জুড়ে, শব্দগুলির ফাঁকে ফাঁকে অদৃশ্য শব্দে, পংক্তিগুলির ফাঁকে ফাঁকে অদৃশ্য পংক্তিতে। সত্ত্বার আন্দোলনের মধ্যে থেকে আরোপিত সত্ত্বাগুলির বিলোপের অন্তর্লীন আকুতিই এই সুইসাইড নোটটিকে করে তুলেছে এক অসামান্য রাজনৈতিক নোট।
“মানুষের মূল্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তার আপাত সত্ত্বায় এবং আশু সম্ভবনায়। একটা ভোটে। একটা সংখ্যায়। একটা জিনিসে। কখনোই তাকে একটা মন হিসেবে নেওয়া হয় না। নক্ষত্রের কণা দিয়ে গড়া এক মহান সৃষ্টি বলে নেওয়া হয় না। প্রতিটি ক্ষেত্রে, কি পড়াশুনা, কি রাস্তাঘাট, কি রাজনীতি, কি বাঁচা-মরায়।”
সাম্প্রতিক মন্তব্য