অবশেষে মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে ইলেকটোরাল বন্ডের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে বললে তখন বিষয়টা লোক জানাজানি হয়। সাভাকারা পরিবারও বুঝতে পারে, তাদের সঙ্গে চিটিং হয়েছে। ১৮ই মার্চ আঞ্জার থানায় সাভাকারা পরিবার লিখিত অভিযোগ জানায়।
সুফল বাংলায় আলুর সরকারি দর ২৫ টাকা প্রতি কিলো আর স্কুল দপ্তরের জন্য বরাদ্দ কিলো প্রতি ৩৮ টাকা
‘আলু নিতে গিয়ে তো পটল তুলে ফেলবেন। লাইনটা রাস্তা থেকে নামান।’ লাইন প্রায় পৌঁছল শনিমন্দির অবধি। শুরু হল টোকেন দেওয়া। লাইন খানিকটা এগোনোর পর শুনলাম টোকেন ৫০ টা দেওয়া হবে। কারণ আলু কম। পরিমাণ ৫ কেজির বদলে ৩ কেজি। বিস্ত্র ঠেলাঠেলি। কে হবে ওই ৫০ জনের মধ্যে একজন। আমার অবশ্য একটু সুবিধে হয়েছিল কারণ আমি ওইদিন দু’বার গেছি আলুর খোঁজে। তার ওপর সন্ধেবেলায় সবার প্রথম। এক ভদ্রমহিলাকে বলতে শুনলাম, আমি তো চন্দ্রমুখী খাই। দেখলাম যখন ২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যাই নিয়ে ৩ কেজি। পরের ভদ্রলোকটি বলে উঠল, তা আপনি যখন চন্দ্রমুখীর দলে, তবে কেন এই বিধুমুখীর খোঁজ? টোকেনটা দিন, আমি বরং নিই। আমরা এতজন লাইন দিয়ে আছি সেই বিকেল থেকে।
এমন দিন আসছে, যখন আপনি মানিব্যাগ খুলে ভাড়া দিতে পারবেন না। ছিনতাই হয়ে যাবে।
সাধারণ মুদিখানার আয় ২৫-৩০ শতাংশ কমেছে।
মিস্টির দোকানের আয় ৫০ শতাংশ কমেছে।
সবজির দোকানের বেচাকেনা ভালো না। শতাংশ হিসেব জানা সম্ভব হয়নি। ভ্যান রিক্সার আয় অনিয়মিত। দিনে ১০০-১৫০ টাকা। নির্মাণ কর্মীদের মজুরির দাম ঠিক আছে। কাজ অনিয়মিত। মাছের বাজার ভালো না। খরিদ্দার কম। পোল্ট্রি মাংসের বাজার ভালো। মাছ মাংস বিক্রেতাদের আয় জানা সম্ভব হয়নি। কলা বিক্রেতাদের ব্যবসা খারাপ আমফানের কারণে।
সবারই আয় বুঝে খরচ। ধারদেনার কথা স্পষ্টভাবে কেউ বলতে চায়নি। যারা টাকা ধার দেওয়ার কারবার চালায়, তারা জানিয়েছে- ধার নেবার লোকের সংখ্যা কমেছে। লোক বুঝে ধার দেওয়া হচ্ছে। টাকা শোধ দেওয়া অনিয়মিত। সরকারের কাছ থেকে কেউ কেউ বার্ধক্যভাতা, বিধবা ভাতা, শিল্পীভাতা, আমফানের ক্ষতিপূরন বাবদ টাকা পাচ্ছে। চাল, গম পাওয়া যাচ্ছে। তা বিক্রি করে কিছু টাকা পাওয়া যাচ্ছে। আগামীদিন কীভাবে চলবে কেউ স্পষ্ট কিছু জানেন না।
বিশ্ব গাড়ি মুক্ত দিবসে সাইকেল-চাপা-লোক ও ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথাবার্তা
জোরে গাড়ি ছোটানোর জন্য লোকে বাইপাস ব্যবহার করে, আবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে কাজের খোঁজে শহরে আগত গরীব মানুষেরা নিরুপায় হয়ে সাইকেল বেছে নেয়। কাজ নেই, রোজগার নেই, হাতে পয়সা নেই। বিপর্যস্ত মানুষ গাড়িভাড়া জোগাড় করবে কীভাবে? তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, লজঝরে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন। সাইকেলের কলকব্জা দড়ি নতুবা তার দিয়ে বাঁধা। সাইকেলে টিউবের পরিবর্তে শুকনো কলা গাছ। তিরিশ চল্লিশ এমনকি পঞ্চাশ কিঃমিঃ দূর থেকে পরিবারের মুখে একমুঠো ভাত জোগাড়ের জন্য হার না মানা জেদে এরা কলকাতায় আসছেন। কিন্তু কলকাতা শহরে রাস্তা সাইকেল চালানোর জন্য নিরাপদ নয়।
নিউ নরম্যালে মেট্রোর চাকা গড়িয়েছে, এখনও কেন অচল-অনড় রয়েছে লোকাল ট্রেন?
মধ্যবিত্তের পেটে খিদে থাকলেও মানসম্মানের বড় চিন্তা। তাই আবার বাইকই ভরসা – আবার ভয়- আবার চিন্তা। সকলের হয়ে আমার একটাই প্রশ্ন- এখনো কি সময় হয়নি ট্রেনের লকডাউন ছাড়াবার? কারণ এবার যে রোগের চেয়ে পেটের জ্বালায় মরার সময় এসে গেছে। যারা সর্বময় কর্তা তাদের কাছে আমাদের মত স্বল্প বেতনের নিম্ন বেতনের নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ তাদের হয়ে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, সচেতনতা বাড়িয়ে যদি ট্রেনের চাকা গড়ানো যায় তাহলে আমাদের মত অনেককেই জীবন বাজি রাখতে হবেনা।
- 1
- 2
- 3
- …
- 5
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য