পর্ণব। মুড়াগাছা। ২৪ জুলাই, ২০২০। # আশপাশের গ্রামগুলোতে খবর রটেছিল ভেবোডাঙার ঘাটে নাকি দু’লরি করোনা রোগীর মৃতদেহ ফেলে গেছে রাতের অন্ধকারে। সকালে মুড়াগাছা থেকে ধর্মদা হয়ে যাওয়ার পথে জলতেষ্টায় দাঁড়াতেই হল মরে যাওয়া প্রাচীন গড়্গড়ি নদীর ধারে বুড়িমা মন্দিরের আগে প্রাচীন জনপদটিতে। বেতেল মন্ডলের ভাটিতে বসে আনন্দ সেখ তখন গেলাসের ছাঁচ সারার কাজ করছিলেন। সুযোগ […]

সরকারি সূত্রে এখনো পর্যন্ত তেইশটি মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন ষাট ফুট গভীরে উলটে যাওয়া নোকাটি উদ্ধার করা গেলে প্রায় চল্লিশটি মৃতদেহ পাওয়া যাবে। ডুবুরীরা জানিয়েছে ষাট ফুট গভীরে জলের ভীষণ চাপ ও ঘন অন্ধকারের কারণে এখনই নৌকা তোলা সম্ভব নয়।

রাস্তার দিকে এসে দেখি, দুজন ছেলে — নিতান্তই বাচ্চা — দড়ি থেকে শুকিয়ে যাওয়া জিন্‌সের প্যান্টগুলো তুলে কাঁধের ওপর জড়ো করছে। এদের মধ্যে যে একেবারেই বাচ্চা, বছর আষ্টেক বয়স হবে, সে বলল, ‘ওইদিন আমি আগুন দেখেছি। তবে বেশি লোক মরেনি। ভোট ছিল তো মুর্শিদাবাদে, অনেকে বাড়ি চলে গিয়েছিল।’

“বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার এন এস মেঘারিক বলেছেন, ‘আমরা কিছু প্রতিবাদীকে ডেকেডুকে কথা বলার চেষ্টা করি। তাদের দাবিগুলোও বোঝার চেষ্টা করি। কিন্তু কেউ এগিয়ে এল না। ওদের কোনো নেতা নেই। কোনো নির্দিষ্ট দাবিও নেই। শুধু ন্যায়বিচারের চাহিদা আছে। ওদের মধ্যে অনেকেই ইপিএফ স্কিমের সংযোজনী ঠিক কী হয়েছে, সে বিষয়ে ঠিকঠাক জানেও না।'”

আমার বাড়ি সূর্যপুরে, বারুইপুর থেকে চার স্টেশন পরে। চারটে বাজতে ১০-২০ মিনিটে আমার ছেলে ভ্যানে করে মথুরাপুর স্টেশনে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। ওখান থেকে (ভোর) চারটে চল্লিশের ট্রেন ধরি।