পার্কটিতে সকাল সন্ধ্যে উঁচুক্লাসের অবাঙালি ও বাঙালিরা গাড়ি বাগিয়ে এসে হাঁটে পার্কের মধ্যে। দৌড়য়। ভালো। কিন্তু কলকাতায় যারা এই গ্রীষ্মের ভরদুপুরে রাস্তায় হাঁটে কাজকর্মের তালে, তাদেরও কি অধিকার নেই এইখানে পার্কটায় একটু জিরিয়ে নেবার?
‘আমাদের পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে শুরু হলো আসল অত্যাচার …’
হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগে পর্যন্ত আমি সমাজের সমস্যাগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলাম না। দলিত এবং আদিবাসীদের চরম দুর্বস্থা সম্পর্কে আমার কোনো ধারনা ছিল না। ভারতীয় সমাজের বিপজ্জনক জাত ব্যবস্থার ফলাফল সম্পর্কে আমার প্রায় কোনো ধারনা ছিল না। কিন্তু হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমি জানতে পারি, এই জাত ব্যবস্থা কীরকম এবং তা দলিতদের কী চরম ভেদাভেদ এবং অমানবিক অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছে।
আমাদের কলকাতা চক্রাকার সাইকেল র্যালি ২০১৬
আমাদের র্যালির রুটের বহু রাস্তায় কিন্তু আইনত সাইকেল নিষেধ। আমাদের দিক থেকে ব্যাপারটা ছিল, এইসব রাস্তায় সাইকেল চালানোটাই আমাদের প্রতিবাদ ও অ্যাকশন। গত দুটো র্যালি করে আমরা দেখেছি, এতে প্রশাসনের ওপর প্রভাব পড়ে।
কী ঘটেছিল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর হস্তক্ষেপে পুলিশ আমাদের হোস্টেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে রেইড করে। তারা জেএনইউএসইউ এর সভাপতিকে তুলে নিয়ে যায় কোনো প্রমাণ ছাড়াই, এবং কোর্ট তাকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজত দেয়। সে স্লোগানগুলো দেয়নি।
“আমাদের দশ গ্রাম বিষ আর দড়ি দিন, ঝুলে পড়ি” — ঠিক একমাস আগে উপাচার্যকে লিখেছিল রহিত
তিনি ইচ্ছে করে একমাস ধরে চুপচাপ ছিলেন। কারণ এই দলিত গবেষকদের সঙ্গে নেমে এসে কথা বলতে তার বাধছিল। দলিত শিক্ষকরা আমাদের নিজেরাই এসে বলেছেন, ওই উপাচার্য একজন জাতকুলীন — ওঁর মাথায় সেই ঔদ্ধত্যটা গেঁড়ে বসে আছে। ও তোমাদের সঙ্গে এসে কথা বলবে না।
- « Previous Page
- 1
- 2
- 3
- 4
- 5
- 6
- …
- 8
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য