বরতির বিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি উল্লেখযোগ্য জলাভূমি, যেখানে ব্যারাকপুরের মত একটি শিল্পাঞ্চলের বুকে জলাভূমিটি কিডনির মতন দাঁড়িয়ে একটি সুস্থ পরিবেশ এবং তার জীববৈচিত্রকে অক্ষুন্ন রাখছে। আরেকটি উল্লেখ্য বিষয়, এখানকার চাষিদের মধ্যে যতটা সম্ভব পাখিদেরকে বিরক্ত না করে কাজ করার প্রবণতা দেখা গেছে।
গ্রামে বাড়ছে অভাবী বিক্রি। কৃষক মান্ডির হ্যাপার চাইতে চাষির ভরসা কাছের আড়ৎ।
কৃষিমান্ডিতে ধান দেব বললে তো হবে না। গেলে তো নিবে না। স্লিপ ধরে দিবে। তাও গেলেই যে স্লিপ পাবে, তা’ও না। তারপর কবে ডাক আসবে, কবে টাকা পাব, তার ঠাঁইঠিকানা নেই। যার জন্য বাধ্য হয়ে চরণবাবুদের আড়তে দিয়ে এলাম সাড়ে বারশো কুইন্টালে। তারপর ধলতা কেটে নিল। কুইন্টালে চার কেজি, মানে পঞ্চাশ টাকা বাদ।
নয়া কৃষি আইন রদের অনড় দাবীতে আন্দোলনকারীরা নিজেরাই নিজেদের মিডিয়া হয়ে উঠছেন
দুই পরিবারের উল্লেখ করি। রমেশ বেরওয়া কলেজের শিক্ষক এবং তাঁর সাথি রাইসা ওঁদের ছেলে, দেওর ও তাঁর স্ত্রী সহ পুরো পরিবার নিয়ে এই আন্দোলনে এলেন। দু-বছরের একটা বাচ্চাও ওঁদের সঙ্গে আছে। ওকে কিছুক্ষণ কোলে নিয়ে খেলা করলাম। আমার নাতি লিচ্চির কথা মনে পড়ল। গত আঠারো দিন ভিডিও কলে মাঝে মাঝে ওর সঙ্গে কথা বলেছি। দ্বিতীয় পরিবারে এসেছে যোধপুরের আইনজীবী কিসন মেঘওয়াল, ওঁর স্ত্রী আর বাচ্চা।
কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে এক অন্য জীবনের খোঁজে সংকেথ
ওরা একটা বিড়ালের বাচ্চার প্রাণ বাঁচিয়েছিল। তিন মাস ওরা বাচ্চাটাকে সঙ্গে রেখেছিল। তারপর আমার এক বন্ধুর বাড়িতে ওকে রাখতে আসে। সেখানে আমি ছিলাম। আমি সেই বিড়াল বাচ্চাটাকে ওদের কাছ থেকে নিই। ওখানেই ওদের সঙ্গে সহনশীল উন্নয়ন আর সহনশীল জীবনধারা নিয়ে আমার আগ্রহ সম্বন্ধে কথা হল। ওরাই বলল, কালিম্পঙের আশপাশে এরকম বেশ কিছু কাজ হচ্ছে, তুমি দেখতে পারো। আমি চলে এলাম।
দিনের শেষে চাষি তার ফসলের দাম বলতে পারবে না বুক ঠুকে। ব্যবসাদারই সব ঠিক করবে
আলু খুব যত্নের গাছ তো। একটা জমিতে ধসা লাগলে আশেপাশের সব জমিতে ছড়িয়ে যায়। করোনার মত। ওষুধের খরচাটা বিশাল। এমনিতেই এবার আলুবীজের দাম চড়া। ফার্স্ট-কাট চার-পাঁচ হাজার টাকা বস্তা। বিঘাতে দুটো থেকে আড়াইটা লাগে। সার বিষ সব কিছু দিয়ে এবছর বিঘাপ্রতি খরচ তিরিশ হাজার টাকা। গতবছর যেটা ছিল কুড়ি-বাইশ হাজারের মধ্যে। এবার সবাই এত আলুর দিকে মন দিয়েছে, যে অন্যান্য সবজির দামও বাড়বে। আর সামনের বার আলুর প্রোডাকশানও বেশি হবে। ফলে চাষি দাম পাবে না। সাধারণ মানুষেরও ফাটবে বাজারে গিয়ে।
বাকি পথটুকু সাবধানে সাইকেল চালাতে চালাতে কানে বাজছিল চা দোকানের আরো নানারকম ছেঁড়া ছেঁড়া কথাবার্তা। — চাষ কারা করে বলুন তো?—হয় যাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, তারা; নয়তো বোকারা’।
- « Previous Page
- 1
- …
- 3
- 4
- 5
- 6
- 7
- …
- 283
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য