খানিক চুপ করে থাকার পর রথিন দা বলে, প্রথম প্রথম কেঁদে ফেলেছিলাম। বিক্রি হয়নি, বাড়িতে এসে চা ফেলে দিতে হয়েছে। সে সময় অনেকে সাহস দিয়েছে হাটের কয়েকজন বলেছেন, লেগে থাকো ঠিক হবে। কয়েক দিন আগেই আমার আর বৌ এর শরীর খারাপ করেছিলো। প্রায় এক হাজার টাকা ওষুধ কিনতে চলে গেছে। শুধু এটুকু চাই ভগবান যেন সুস্থ রাখেন। ইদানিং হাঁটুর একটা সমস্যা হচ্ছে। আসলে হাঁটু মুড়ে বসে চা দিতে হয়।চোদ্দ বার উপর নীচ করতে হয় হাটের একতলা থেকে তিন তলা। অল্প বয়সে খেলতে গিয়ে হাঁটতে চোটও পেয়েছিলাম।
তাঁতী এমনিতে ভালো কিন্তু অভিমান বিশাল
লকডাউনের ফলে কাপড়ের হাট বন্ধ হয়ে যায়, মহাজন কাপড় নেওয়া বন্ধ করে দেয়, বন্ধ হয়ে যায় বাইরে থেকে সুতো আসা। স্থানীয় দোকানেও সুতোর আকাল শুরু হয়ে যায়। একদিকে সুতোর অভাব, অন্যদিকে কাপড় বিক্রি বন্ধ হবার ফলে খোকন দেবনাথের তাঁত বন্ধ হয়ে যায়। তাঁতিরা অসুবিধার মধ্যে পড়ে যায়। নিজের তাঁতি অর্থাভাবে নানা সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন, তাই দেখে ধার দেনা করে নিজের থেকে তাদের সামান্য সাহায্যের চেষ্টাও প্রথম দিকে হয়তো করেন। কিন্তু লকডাউনের বহর ক্রমশ বাড়তেই থাকে। তাতে সমস্যা তীব্র হতে থাকে খোকন দেবনাথের। মানসিকভাবে চরম চাপে পড়ে যান।
দু’হাজার বিঘা মাঠ ও বিলের সম্বল নিয়েও কুড়ি বছরে বদলে গেল বাগদিয়ার গ্রামীণ অর্থনীতি
বাবর আলী। বাগদিয়া, শান্তিপুর। ২৮ জুলাই, ২০২০।# “আর ভাল্লাগছে না! ব’সে ব’সে আর দিন কাটছে না। কাজ-কাম নেই, পকোট ফাঁকা। কন্টোলের ওই ক-কেজি চাল তো পিরায় ফুইরে গেল।(কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে আবার বলতে শুরু করলো)শালা আগেই ভালো ছিলাম রে ভাই। এরাম ঝম ঝম বৃষ্টির মদ্যে মাথায় বিচের আঁটি নিয়ে এভুঁই ও ভুঁই ক’রে ছুটে বেইরিছি। সন্ধেবেলা গেরস্থর […]
করোনা মেরেছে। এখন মারছে ওপরওয়ালা
শমিত। শান্তিপুর। ১৭ জুলাই, ২০২০। # তাঁতশিল্পে কাপড় বোনা ছাড়াও আনুষঙ্গিক অনেকরকম কাজে জড়িয়ে থাকেন অনেকেই। কেউ নলি পাকান, কেউ ড্রাম হাটেন, কেউ সানা বোয়া করেন। এখন কাপড় মাজার কাজে জড়িয়ে আছেন ব্লকের বিরাট সংখ্যক মানুষ। একই পরিবারের পুরুষ-মহিলা সকলে মিলে এই সমস্ত কাজে জড়িয়ে থাকেন। তাঁতে বোনা আলো কাপড় মহাজনের কাছ থেকে নিয়ে তাতে […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য