শোভা ধনী। শান্তিপুর। ১৬ জুলাই, ২০২০। # শান্তিপুরে দত্তপাড়া মাঠের পূর্বদিকে বেশ কিছু টালি ও টিনের ছাউনি দেওয়া বাড়ি। রাস্তার উপর স্তূপাকৃতি হয়ে আছে ময়লা, আবর্জনা। বাড়িগুলো নীচু। বৃষ্টির জলে সেই নোংরা আবর্জনা ধুয়ে নামছে বাড়ির উঠোনে। কথা হচ্ছিল ঝর্ণা ঘোষের বাড়িতে। ঝর্ণাদি তার বাড়ির বারান্দায় পাটি পেতে বসতে দিয়েছিলেন। আশেপাশের বাড়ির মহিলাদের তিনিই ডেকে […]
মহারাষ্ট্র থেকে ২৬ দিন হেঁটে বাড়ি নয়, কোয়ারেন্টাইনে ফেরেন বেনালীর নারায়ণ বৈদ্য
প্রথমে ৫০ টাকা দিয়ে সাহায্য করেন একজন রিক্সাচালক। আর ফেরেস্তার মতো এক সাংবাদিক সাহায্য করেন ৫০০ টাকা দিয়ে। সুদর্শন। বগুলা। ১৩ জুলাই, ২০২০।# লকডাউনের এটাই সুবিধা। টেলিভিশন খুললেই তাক লাগানো পরিসংখ্যান। চোখ ধাঁধানো পরিবেশন। সবই অবশ্য মুখ বেঁধে! এই বাঁধা ছকে আপনার মস্তিষ্কটাও কি স্থবির হয়ে ভুলে যায়নি নিজের প্রতিবেশীদের কথা? তবু ‘শ্রমিকদের আগে আনা […]
করোনার ফেরে শঙ্করদা এখন মশলা আর লটারি টিকিটের ফেরিওলা
কাজ হারানো মানুষের পেশা বদলের স্কেচ আঁকছেন সুমিত সুমিত দাস। শান্তিপুর। ১৩ জুলাই ২০২০।# শিয়ালদহ স্টেশনের জনসমুদ্রের মাঝখান থেকে হঠাৎ প্রবর্তক সেনের হাত চেপে ধরেন শঙ্করদা। দাদা আজ কিন্তু লাষ্ট কম্পার্টমেন্টে আমার সাথে উঠতে হবে। নাছোড় শঙ্করের আবদারে প্রবর্তক সেনকে উঠতেই হয় শঙ্করের সাথে। কলকাতায় পাটের কোম্পানিতে কাজ করে শঙ্কর, মাস মাইনে খুব বেশি নয়। […]
ফের কি ভিনরাজ্যে কাজে ফিরবেন? কোয়ারেন্টাইনে থাকা শ্রমিকদের সাথে কথাবার্তা
ধীমান বসাক। শান্তিপুর। ১২ জুলাই ২০২০।# ২৪ মার্চ, রাত আটটা। টিভিতে সবাই জানলাম রাত আটটার পর থেকে শুরু হচ্ছে এক কঠোর লকডাউন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, ঘরের দরজাটাকে ভেবে নিন লক্ষণরেখা, ওর বাইরে পা দেবেন না। আর বললেন, মহাভারতের যুদ্ধ শেষ হতে ১৮ দিন লেগেছিল, করোনার চেইন ভাঙতে ২১ দিন লাগবে। পরেরদিন সকাল থেকে গোটা দেশ পশ্চিম […]
মেটিয়াবুরুজে করোনা-আলাপের এক খণ্ডচিত্র
কাচিসড়কের কাছে পাহাড়পুর রোডের ওপর মৌলানা আজাদ মেয়েদের স্কুল। সামনে আলাউদ্দিন মাস্টার কোটিপতি মানুষ, বড়ো বিজনেস ম্যান। ওঁর ছেলের দিল্লিতে শ্বশুরবাড়ি। সে বউকে পৌঁছে দিতে গিয়েছিল। ফিরে এসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেল। পরে ওর বাবাও মারা গেল। ১৩৩, ১৩৪, ১৩৫ এই তিন ওয়ার্ডে দু-তিন মাসে প্রায় আড়াইশো মানুষ মারা গেছে। ওষুধ নেই, ডাক্তার নেই। নার্সিং হোম, ডাক্তারখানা সব বন্ধ ছিল। হাসপাতালগুলোও বদমায়েসি করেছে, যারা গেছে রোগি নিয়ে, ফিরিয়ে দিয়েছে। হার্টের পেশেন্ট, সুগার পেশেন্ট — বয়স্ক লোক বেশি, কিন্তু কমবয়সিরাও ছিল — সব রকম পেশেন্ট, বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। একমাত্র মেটিয়াবুরুজ হাসপাতালে কিছু কাজ হয়েছে। কিন্তু ওখানে করোনার চিকিৎসা হয় না। যারা পয়সাওয়ালা তারাই করোনায় মরেছে। আর গরিব লোকে মরেছে না খেয়ে কিংবা বিনা চিকিৎসায়। লকডাউন যদি করতেই হত, পাঁচদিন অন্তত সময় দেওয়া উচিত ছিল। যারা বাইরে গিয়েছিল, যে যার ঘরে ফিরে আসত। সবার আগে দিল্লি আক্রান্ত হয়েছে। সব জায়গার খবর জানি না। তবে শুনেছি হরিবাবুর বস্তিতে একজন করোনায় মারা গেছে। করোনার যেরকম গুজব ছিল মেটিয়াবুরুজ নিয়ে, সেরকম কিছু হয়নি এখানে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য