তাঁর নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাস যাই হোক-না কেন, একটি মানবাধিকার সংগঠনের রাজনীতি তিনি নিষ্ঠাভরে মেনে চলতেন। সভায় কেউ হয়তো উত্তেজনার বশে একটু উগ্র রাজনৈতিক মন্তব্য করে ফেলেছে, দীপাঞ্জনদা তাকে স্মরণ করিয়ে দিতেন, গণতান্ত্রিক সংগঠনের মঞ্চ থেকে এধরণের কথা বলা যায় না। মতভেদের কারণে সভা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে দীপাঞ্জনদা শান্তভাবে বিবাদ মিটিয়ে দিতে চাইতেন। তাঁর ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা না-করে উপায় ছিল না।
একজন পেশাদার ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীর ভূমিকা কী হওয়া উচিত, চোখে আঙুল দিয়ে শেখাতেন বিমল সেন
তবে দেখেছি কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের প্রতি অপার শ্রদ্ধা আর চোখে ভারতের মুক্তি সংগ্রামের স্বপ্ন। মুখে অবশ্য অবিরাম আউড়ে যেতেন সংগঠনের মূল মন্ত্র – ‘এই ব্যবস্থায় কোনো সরকার কর্মচারী, মেহনতি মানুষের বন্ধু হয়না’। একটা খুব বাজে অভ্যাস ছিল বিমলদার, হাঁটুর বয়সী থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবাইকে ‘দাদা’ সম্বোধন করতেন। হাজার বার বারণ করলেও শুনতেন না। পরে বুঝেছি সংগ্রামী সাথীদের ওটা তার স্বীকৃতি।
খুব আবেগপ্রবণ মানুষ ছিলেন বিমলদা। সংগঠনে উত্তপ্ত বিতর্ক চলছে। আমাদের মতো বহু মত পথ বিশিষ্ট সংগঠনে তা মাঝেমধ্যেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কান্নায় ভেঙে পড়তেন বিমলদা। ভীষণ ভয়, সংগঠন যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়! আকুল আবেদন করতেন, ‘আপনারা সংগঠনটা ঠিক রাখুন’।
রাষ্ট্রীয় আগ্রাসনের সমালোচনা করায় প্রাণ গেছিল আবরারের। আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভের ভিত আগলে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ।
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আবরারের আত্মদানের স্মরণে তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে, ডাকসুর সদ্যবিগত সমাজসেবা সম্পাদক আখতারের নেতৃত্বে ঢাকার পলাশীর মোড়ে আট স্তম্ভ নির্মান করা হয়। সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদা- আগ্রাসনবিরোধী এই আটটি আকাঙ্খার প্রতীক ছিল এই আটটি স্তম্ভ।
অতীতের কলঙ্ক মনে করিয়ে শান্তিপুরে দুদিন উড়ল তেরঙা পতাকা আর বর্তমানের কলঙ্ক মনে করিয়ে পাঞ্জাবে কালো পতাকা
মহামারীর বাজারে এখন গণউদ্যোগের জোয়ার। সচেতনতার বার্তা দিতে টি.ভি., রেডিও, টেলিকম সার্ভিস, প্রশাসন, ক্লাব, পুজামন্ডপ, ঠাকুরবাড়ি, এন.জি.ও.- সক্রিয়তায় ফাঁকি রাখছেন না কেউ। এদিকে বাজারে এখন মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ডের বিক্রিবাটা ব্যাপক। এতদিন রাজনৈতিক নেতারা নিজ নিজ দলীয় প্রতীক মাস্কে এঁকে আত্মসচেতনতার বার্তা দিয়েছেন, কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বাজারে তেরঙা মাস্ক আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে হুড়িয়ে প্রতিবাদ, এভাবে থুতু কফ সর্দি শ্লেষ্মা তেরঙা নিশান থুড়ি মুখোশে লেগে গেলে দেশদ্রোহীতার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। আর এর মধ্যেই ১৫ই সকালে পাড়ায় পাড়ায় অলিতে গলিতে ক্লাবে লবিতে বন্ধ স্কুল কলেজে রেলস্টেশনে বেজে উঠল স্বাধীনতার নহবৎ। যারা ছুটিতেই ছিলেন কিম্বা যাদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারাও এই পাওনা ছুটির ময়দানে গোল্লাছুট খেলে নিলেন।
চলে গেলেন মরিচঝাঁপি তথ্যচিত্রনির্মাতা তুষার ভট্টাচার্য
সংবাদমন্থন প্রতিবেদন। ২৯ জুলাই, ২০২০।# গত ২১ জুলাই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন তুষার ভট্টাচার্য- মরিচঝাঁপি নিয়ে যার ডকুমেন্টারি প্রথম নজর কাড়ে। জীবনের শেষ প্রান্তে উনি বোলপুর পাড়ি দিয়েছিলেন। স্বামী-স্ত্রী-কন্যা বোলপুরে থাকতেন। অসুস্থতার খবর পেয়ে ১৯ জুলাই বেলুড় শ্রমজীবি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে যায় বোলপুর। বেলুড় হাসপাতালে যখন আনা হয়, প্রেসার তখন ৬০/২০। ২১ তারিখ […]
- 1
- 2
- 3
- …
- 8
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য