ইতিহাসে এই প্রথমবার কোন কেন্দ্রীয় আইন পাস হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই দেশজুড়ে কৃষকরা প্রতিবাদ করল। এই তীব্র প্রতিবাদ, যা কৃষকদের জীবন ও জীবিকার উপর হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, ২০ টি রাজ্য জুড়ে দেখা গিয়েছে। দশ হাজারেরও বেশী জায়গায় প্রায় দেড় কোটি কৃষক “চক্কা জাম”, “ধর্না” বা বিল পোড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার মিথ্যা প্রচার করছে যে কৃষক বিক্ষোভ শুধুমাত্র উত্তর ভারতে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এই বনধ এবং বিক্ষোভের সর্বভারতীয় চরিত্রটা পরিস্কারভাবে বোঝা গেছে যখন দেশের দক্ষিণতম রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৩০০-এরও বেশি জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছে, ৩৫,০০০–এরও বেশী কৃষক রাস্তায় নেমেছে এবং ১১,০০০–এর বেশী কৃষককে রাজ্যের বিজেপি’র বন্ধু সরকার গ্রেপ্তার করেছে!! এমনকি অন্যান্য সংগঠন এবং কোনও সংগঠনের সাথে জড়িত না থাকা কৃষকরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বনধ পালন করেছে। এই বনধ দেখিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই তিনটি কালো আইনকে দেশের কৃষকরা প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিশ্ব গাড়ি মুক্ত দিবসে সাইকেল-চাপা-লোক ও ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথাবার্তা
জোরে গাড়ি ছোটানোর জন্য লোকে বাইপাস ব্যবহার করে, আবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে কাজের খোঁজে শহরে আগত গরীব মানুষেরা নিরুপায় হয়ে সাইকেল বেছে নেয়। কাজ নেই, রোজগার নেই, হাতে পয়সা নেই। বিপর্যস্ত মানুষ গাড়িভাড়া জোগাড় করবে কীভাবে? তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, লজঝরে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন। সাইকেলের কলকব্জা দড়ি নতুবা তার দিয়ে বাঁধা। সাইকেলে টিউবের পরিবর্তে শুকনো কলা গাছ। তিরিশ চল্লিশ এমনকি পঞ্চাশ কিঃমিঃ দূর থেকে পরিবারের মুখে একমুঠো ভাত জোগাড়ের জন্য হার না মানা জেদে এরা কলকাতায় আসছেন। কিন্তু কলকাতা শহরে রাস্তা সাইকেল চালানোর জন্য নিরাপদ নয়।
লোকসভায় পাশ হওয়া বিতর্কিত তিনটি নতুন কৃষি আইনে কী কী আছে?
এই তিন আইনের বলে কেন্দ্রীয় সরকার ফসলের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য তুলে দিতে চাইছে বলেও চাষিদের আশঙ্কা। যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ফসলের দামের একটা মান ঠিক করে দেয় এবং বাজার মূল্য তার আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে যদি সরকার চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ফসল কেনে বেশি বেশি। পঞ্জাব ও হরিয়ানার চাষিরা এই তিনটি আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই করছে রাস্তায় নেমে।
গৌরী লঙ্কেশ খুনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি। ক্যাম্পেনের নাম : ‘যদি আমরা উঠে না দাঁড়াই’।
সারা দেশে প্রায় পাঁচশোটা গ্রুপ হাত মিলিয়েছে। হিমাচলে সিপিআই, সিপিএম, মাওবাদী ঘেঁষা গ্রুপ, যারা কখনো একসঙ্গে কাজ করে না তারা সকলে ছিল; সামাজিক সংগঠন, এনজিওগুলো ছিল। ‘ইগালেটেরিয়ান ট্রেইলস’ নাম দিয়ে আমরাও কয়েকজন বন্ধু ছিলাম। এই নামে তিব্বতীদের নিয়েও আমরা এর আগে কাজ করেছি।
শিবানন্দজীর অনশন এইবারের মতন রদ হল। এবং পরিবেশ রক্ষার লড়াই জারি রাখল নাগরিক সমাজ।
শান্তিপুরের একটার পর একটা আমবাগান কেটে ফেলা হচ্ছে, একটার পর একটা জলাশয় হত্যা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সরব হন পরিবেশ কর্মীরা, আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় সরকার ই.আই.এ. যে বিল পাশ করিয়ে নিতে চাইছে লকডাউনকে হাতিয়ার করে তার বিরোধিতা করে এইদিনের সভায় উপস্থিত পরিবেশ কর্মীরা বলেন- নদীর ওপর দিয়ে, বনাঞ্চলের ওপর দিয়ে অথবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে পরিবেশের ক্ষতি করে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে, জঙ্গলে বসবাসকারী অন্যান্য প্রাণীদের সহ মনুষ্যকুলকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে তথাকথিত উন্নয়ন, কারখানা বা ব্রীজ গড়ে উঠবে।
- « Previous Page
- 1
- 2
- 3
- 4
- 5
- …
- 24
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য