ওঁকে সাজা দিলে, একদল ওঁকে শহিদ বলে লিখবে, আর একদল লিখবে যে উনি উচিত সাজা পেয়েছেন। আমরা সকল এই বিতর্কের অবসান চাই। বিচার ব্যবস্থার প্রাজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তা হতে পারে। সাজার ফল হতে পারে, উনি শহিদ হবেন। দয়া করে সেটা করবেন না। উনি শহিদ হতে চান না।
আমাদের এখানে করোনা নেই!
ষোলো দলের খেলা। সাতজন করে প্লেয়ার। ফুলিয়া, বাদকুল্লা থেকে খেলতে এসে সব হেরে ফিরে গেছে।
চীনা পণ্য বেচেই দিন চলছে সুশান্তদের
করোনাকালে প্রায় আড়াই মাস বসে ছিলেন। এখন মাসখানেক কাজে বেরচ্ছেন। দৈনিক দু’তিনশ টাকার বিক্রি হচ্ছে। দুই ছেলেমেয়ে আর বউ কে নিয়ে কোনোরকমে দিন গুজরান হচ্ছে।
কাজ হারিয়ে যখন দু’আড়াই মাস বসে খেয়েছেন তখন সামান্য সোনার গহনাতেও হাত পড়েছে বলে আক্ষেপের সুরে জানালেন। সে কথায় রঙ বেরঙের নানা কৃত্রিম ফুল বিক্রেতা সুশান্তর মুখটা বেরঙিন হয়ে উঠতে দেখা গেল।
তাঁতী এমনিতে ভালো কিন্তু অভিমান বিশাল
লকডাউনের ফলে কাপড়ের হাট বন্ধ হয়ে যায়, মহাজন কাপড় নেওয়া বন্ধ করে দেয়, বন্ধ হয়ে যায় বাইরে থেকে সুতো আসা। স্থানীয় দোকানেও সুতোর আকাল শুরু হয়ে যায়। একদিকে সুতোর অভাব, অন্যদিকে কাপড় বিক্রি বন্ধ হবার ফলে খোকন দেবনাথের তাঁত বন্ধ হয়ে যায়। তাঁতিরা অসুবিধার মধ্যে পড়ে যায়। নিজের তাঁতি অর্থাভাবে নানা সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন, তাই দেখে ধার দেনা করে নিজের থেকে তাদের সামান্য সাহায্যের চেষ্টাও প্রথম দিকে হয়তো করেন। কিন্তু লকডাউনের বহর ক্রমশ বাড়তেই থাকে। তাতে সমস্যা তীব্র হতে থাকে খোকন দেবনাথের। মানসিকভাবে চরম চাপে পড়ে যান।
মাথার উপর থেকে ছাদটাই কেড়ে নিলে মাথা তুলে দাঁড়াবেন কোথায়?
অতিমারীর সময় যখন সরকার দেশের সমস্ত নাগরিকদের ঘরে থাকার নিদান দিচ্ছে প্রতিদিন, তখন দেশের কোথাও না কোথাও প্রতি ঘন্টায় ২৫ জন করে ঘর ছাড়া হচ্ছেন। উচ্ছেদ ও ঘরভাঙা হচ্ছে যথাক্রমে ৫২০ জন ও ১১০ টি। মহামারীর সময় জোর করে উচ্ছেদ হয়েছে মার্চ থেকে জুলাই মাসে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। ২০১৭-১৯ সালে বাড়ি ভাঙা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার। এই সময় পর্বে অর্থাৎ তিন বছরে প্রায় ছ’লাখ মানুষকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বলা বাহুল্য দেশের গরীব, প্রান্তিক স্তরের মানুষ এই উচ্ছেদের শিকার।
- « Previous Page
- 1
- …
- 16
- 17
- 18
- 19
- 20
- …
- 283
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য