- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

হড়কা বানে বিধ্বস্ত, হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ, বন্ধ হয়ে গেল কেদারনাথ ধাম

সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১৯ জুন#

পিটিআই-এর তোলা ছবিতে হড়কা বানে বিধ্বস্ত কেদারনাথ ধাম। কালো রঙের মন্দিরের কাঠামোটি দেখা যাচ্ছে ছবিতে।
পিটিআই-এর তোলা ছবিতে হড়কা বানে বিধ্বস্ত কেদারনাথ ধাম। কালো রঙের মন্দিরের কাঠামোটি দেখা যাচ্ছে ছবিতে।

বিখ্যাত হিন্দু তীর্থস্থান কেদারনাথ ধাম হড়কা বানে বিধ্বস্ত। অতি বর্ষণের ফলে প্রায় গোটা উত্তর ভারত এবং বিশেষত উত্তরাখণ্ডে পাহাড়ি এলাকায় ধ্বস নেমে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, শতাধিক মানুষের জীবনহানির খবর এসেছে এখনও পর্যন্ত। কিন্তু একা কেদারনাথ ধামেই মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৫০। উদ্ধারকার্যে নিযুক্ত এক অফিসার আজ বুধবার জানিয়েছেন, বানে কতজন মারা গেছে তার সংখ্যা এখনও জানা যাচ্ছে না। তবে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিখোঁজ। কেদারনাথ মন্দির ঘিরে থাকা আড়াইশোটি হোটেল এবং লজ ও প্রায় একশ’টি দোকানের সবগুলি ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী অফিসাররা। জুনের ১৪ থেকে ১৬ তারিখ — যখন কেদারনাথে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় সাড়ে চার গুণ বেশি বৃষ্টি হয় (৩৮০ মিমি), সেই সময় কেদারনাথে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ ছিল। এদের মধ্যে মাত্র ১ হাজার জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে।
মন্দিরের কাছেই অবস্থিত রাম বড়া বাজার এলাকা সম্পূর্ণ চাপা পড়ে গিয়েছে। উদ্ধারকারী দলের হেলিকপ্টার থেকে জায়গাটা দেখাই যায়নি। এই এলাকায় সবসময় ৭০০ থেকে ১০০০ লোক থাকে, কাজ করে। তাছাড়া শিবমন্দিরের শতাধিক সেবাইত, কয়েকশ’ সরকারি কর্মচারী — কারোরই কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। গৌরীকুণ্ড থেকে রাম বড়া হয়ে কেদারনাথ অবদি ১৪ কিমি-র ট্রেকিং রুট-ও ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছে, অতি বর্ষণে কেদারের পাহাড়চূড়ো ভেঙে পড়ে চারবারি লেক-এ ফাটল ধরার কারণে হড়কা বান আসে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তত এক বছর কেদারনাথ ধাম যাত্রা হবে না।