• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

সংবিধানের রাষ্ট্রদ্রোহিতার ধারা বাতিলের দাবি

December 18, 2012 admin Leave a Comment

সংবিধানের রাষ্ট্রদ্রোহিতার ধারাটিকে বাতিল করার জন্য ভারতের সংসদে আবেদনের কর্মসূচি নিয়েছে নাগরিক অধিকার সংগঠন পিইউসিএল এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলি। লক্ষ্য, আগামী মার্চ মাসের বাজেট সেশনের মধ্যে দশ লক্ষ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে পাঠানো। আরতি চোক্ষির প্রেরিত আবেদনটির বাংলা অনুবাদ। #

ভারতীয় পেনাল কোডের ১২৪এ ধারায় ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইন রয়েছে, যা ভারতীয় আইন মেনে প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতি ঘৃণা বা অবমাননা অথবা বিদ্রোহ করার দায়ে প্রযোজ্য। মুখের কথা, লেখা, বা যে কোনো দৃশ্যমান চিহ্নের মাধ্যমে করা এই বিদ্রোহ, ঘৃণা বা অবমাননা রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে গণ্য হবে এবং তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তির যোগ্য। ভারতীয় পেনাল কোডের ছয় নম্বর অধ্যায়ের ণ্ণরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্যায়’ নিয়ে আলোচনার মধ্যে রয়েছে এই ধারাটি। ওই পরিচ্ছদে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা সহ গুরুতর সব অন্যায় নিয়ে কথা আছে।

১৮৭০ সালে ব্রিটিশ সরকার ১২৪এ ধারাটি এনেছিল। তারা ভেবেছিল এই রকম একটি দানবীয় আইন দরকার স্বাধীনতা সংগ্রামকে দমিয়ে রাখার জন্য। এই ধারায় বিচার হওয়া খ্যাতনামা ব্যক্তিদের মধ্যে আছে বাল গঙ্গাধর তিলক, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী এবং মৌলানা আবুল কালাম আজাদের মতো ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতারা। স্বাধীনতা সংগ্রামকে দমন করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের ব্যবহৃত যাবতীয় আইন স্বাধীন ভারতে টিঁকিয়ে রাখা হয়েছে। যদিও সংবিধানে সেগুলি পুনর্বিচারের অবকাশ ছিল।

জওহরলাল নেহরু সম্পূর্ণভাবে এগুলির বিরুদ্ধে ছিলেন। ১৯৫১ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতীয় পেনাল কোডের ১২৪(এ) ধারার কথা ধরা যাক। এটি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাস্তব এবং ঐতিহাসিক কারণে এটির কোনো আইনেই থাকা উচিত নয়। যত দ্রুত আমরা ধারাটি বাদ দিতে পারি, তত মঙ্গল।’

বস্তুত, প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার আছে, তার অপছন্দের সরকারের অপকর্মগুলি উন্মোচিত করার, লোকের মধ্যে বিদ্রোহ এবং অবাধ্যতা তৈরি করার; এবং সরকারটিকে গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা থেকে তাড়ানোর কার্যক্রম নেওয়ার, অবশ্যই হিংসার পথে না গিয়ে। অতএব এই আইনটি গণতন্ত্রের পক্ষে মানানসই নয়, যেখানে কারোর বর্তমান সরকার সম্পর্কে অসন্তোষ থাকলে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ তৈরি করার এবং পরবর্তী নির্বাচনে তার অপসারণ চাওয়ার অধিকার আছে। সরকারের প্রতি অবাধ্যতা মানে রাষ্ট্রের প্রতি অবাধ্যতা নয়। আজকাল দেখা যাচ্ছে, এই আইন শান্তিপূর্ণ জন আন্দোলন এবং মানবাধিকার কর্মীদের দমন করার জন্য ব্যবহার করছে রাষ্ট্র।

শান্তিপূর্ণ সমালোচনার কন্ঠরোধ করার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনের ব্যবহার একটি দমনমূলক সরকারের প্রতীক। ভারতীয় সংসদের উচিত এই আইনকে অবিলম্বে রদ করা।

 

মানবাধিকার রাষ্ট্রদ্রোহিতা, সংবিধান

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in