সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ২২ মে#
গত বছর জুলাই মাসের হিংসাত্মক ঘটনার জেরে হরিয়ানা রাজ্যে মারুতি কোম্পানি তাদের ৫৪৬ জন স্থায়ী শ্রমিক এবং ১৮০০ চুক্তি-শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিকদের ওপর জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়, গ্রেফতার হয় ১৪৭ জন। তাদের মুক্তি চেয়ে, ৬৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য পরওয়ানা বাতিলের দাবিতে এবং ছাঁটাই শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে মারুতি কারখানার শ্রমিকরা এ বছর ২৪ মার্চ থেকে ধর্না, মিছিল, অনশন শুরু করে। এরই অঙ্গ হিসেবে কাইথাল-এ হরিয়ানার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী রণদীপ সিং সুর্জিওয়ালার বাড়ির সামনে শ্রমিকদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে অবরোধের কথা ছিল ১৯ মে।
কিন্তু ১৮ মে রাত থেকেই ব্যাপক পুলিশ দিয়ে ছেয়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। শহরে ঢোকার রাস্তাগুলি সিল করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা শ্রমিক পরিবারগুলিকে আটকানোর জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শতাধিক প্রতিবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় কাইথালে মারুতি সুজুকি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ধর্না মঞ্চ।
হরিয়ানার অন্তত ৮৪টি পঞ্চায়েত প্রধান মারুতি শ্রমিকদের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করে এই মাসের প্রথম সপ্তাহে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এইসব পঞ্চায়েতকে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে হরিয়ানা সরকার।
Leave a Reply