আর কতবার তোমায় বাইরে গিয়ে দাঁড়াতে হবে
ভিড়ের ভিতরে আলাদা হয়ে?
জনতার সামনের সারিতে উপস্থিত তোমার একলা মুখে
আর কতবার ঝলসে উঠবে ক্যামেরার আলো?
কতবার তোমার বিবেক বিষাদে আচ্ছন্ন হয়ে ভয়ানক খেলায় জড়াবে?
তোমায় কেন বলতে হবে, আওয়াজ কোরো না, মৌন হয়ে চলো?
তুমি কেন নীরবে থেকে বোঝাতে পারোনি –
এটা শব্দকে বাইরে ছুঁড়ে দেওয়ার সময় নয়, ভিতরে বইয়ে দেওয়ার সময়?
তাহলে তুমি কেন শব্দের ঘর ছেড়ে পথে এলে কবি?
রক্ত? সে তো ঝরবেই।
কান্না? তারও তো একইরকম –
তরলতা নিম্নগতি – প্রসারিত নিশ্চেতনা জুড়ে
সে সবের স্রোত যদি সব খেতে ছড়াতে না পারে,
শক্ত পাথরে বাধা পেয়ে আটকায় ঢেউ তার,
অথবা আপন বাঁকে ঘুরে ঘুরে সে শুকিয়ে মরে –
তুমি কী করবে কবি?
রক্ত জানে তুমিও তো জানো পাথরের ক্ষমতার কত রূপ,
কান্না জানে তুমিও তো জানো মাটির ভিতরে কত সূক্ষ্ম তন্ত্রজাল,
নিজস্ব নিগড়ে নিজের নিজের নিষ্ঠুর সুখ সব।
তুমি কেন অন্যের হয়ে বলে দেবে অপমান?
অপমান স্ব–ঘোষণা, সে বাজুক,
তুমি দূরে বাহু তুলে রাখো।
—– অমিতাভ সেন
Leave a Reply