ভেলিভাদা (দলিত-বস্তি) তাঁবু খাটিয়েছিল রোহিত-রা, ৪ জানুয়ারি। হোস্টেল থেকে বিতাড়িত হয়ে। ২৭ মে রাত্রে বিশ্বদবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিরাপত্তা কর্মীরা ‘ভেলিভাদা’ তাঁবু ভেঙে দেয়।
রোহিত ভেমুলার বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রছাত্রীর রাজনৈতিক সৃজন — ‘প্রতিবাদী ঘুম’
একটা গোলাপী ব্যাগের মধ্যে নিজের মাথামুণ্ডু ঢুকিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়লাম, যাতে আমি কিছু শুনতে না পাই, শুঁকতে না পারি, দেখতে না পারি, শ্বাস নিতে না পারি, অর্থাৎ উপাচার্যের উপস্থিতি অনুভব করতে না পারি। অনুপমা তার কানদুটো ঢেকে দিল হাতের চেটো দিয়ে, যাতে সে এই ক্ষমতার পরাকাষ্ঠার মুখ নিঃসৃত কোনো বাণী না শুনতে পায় অথবা আমাদের প্রদর্শনীতে তার কোনো হস্তক্ষেপ কানে না ঢোকে।
‘আমাদের পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে শুরু হলো আসল অত্যাচার …’
হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগে পর্যন্ত আমি সমাজের সমস্যাগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলাম না। দলিত এবং আদিবাসীদের চরম দুর্বস্থা সম্পর্কে আমার কোনো ধারনা ছিল না। ভারতীয় সমাজের বিপজ্জনক জাত ব্যবস্থার ফলাফল সম্পর্কে আমার প্রায় কোনো ধারনা ছিল না। কিন্তু হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমি জানতে পারি, এই জাত ব্যবস্থা কীরকম এবং তা দলিতদের কী চরম ভেদাভেদ এবং অমানবিক অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছে।
“আমাদের দশ গ্রাম বিষ আর দড়ি দিন, ঝুলে পড়ি” — ঠিক একমাস আগে উপাচার্যকে লিখেছিল রহিত
তিনি ইচ্ছে করে একমাস ধরে চুপচাপ ছিলেন। কারণ এই দলিত গবেষকদের সঙ্গে নেমে এসে কথা বলতে তার বাধছিল। দলিত শিক্ষকরা আমাদের নিজেরাই এসে বলেছেন, ওই উপাচার্য একজন জাতকুলীন — ওঁর মাথায় সেই ঔদ্ধত্যটা গেঁড়ে বসে আছে। ও তোমাদের সঙ্গে এসে কথা বলবে না।
সাম্প্রতিক মন্তব্য