রেলমন্ত্রক ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি জারি করছে, ঐসব বিজ্ঞপ্তিতে ১৯৭২ ও ১৯৮৭ সালের নিয়মের উল্লেখ করে কর্মচারীদের আগাম অবসরের বার্তা পাঠাচ্ছে। রেলের বিভিন্ন ডিভিশনে ও ওয়ার্কশপে কর্মচারীদের (যাদের বয়স ৫৫ বছর বা কর্মজীবন ৩০ বছরের) তালিকা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। অবিলম্বেই তাদের অবসর গ্রহণের চিঠি ধরানো হবে। এই আকষ্মিক অবসর গ্রহণে ঐসব কর্মচারী ও তাদের পরিবার যে আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে সেকথা এই সরকারের ভাবনাতেই নেই। সরকার ১৯৭২ সালের নিয়মের সুযোগ নিচ্ছে যা পূর্বের কোনো সরকারই প্রয়োগ করেনি। আগের সরকার কর্মচারীদের স্বার্থের কথা ভেবে স্বেচ্ছাবসরের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। বর্তমান সরকারের কোনো ক্ষেত্রেই কোনো মানবিক মুখ দেখা যাচ্ছে না। সেটা শুধু সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেই নয়, লকডাউন পিরিয়ডে ভিন্নরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো, কৃষকের ঋণ মুকুব, নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র সংগ্রহে দুর্দশাগ্রস্ত আবালবৃদ্ধবনিতা, নোটবন্দীর সময়ে ব্যাঙ্কের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো বয়স্ক নাগরিক – কোনো ক্ষেত্রেই সরকারকে মানবিক ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
চট্টার ফেড জিন্স কারখানায় আগুনে হত ঘুমন্ত শ্রমিক : ‘যতদিন আছি এভাবেই বেঁচে থাকতে হবে। তারপর একদিন মরে যেতে হবে’
রাস্তার দিকে এসে দেখি, দুজন ছেলে — নিতান্তই বাচ্চা — দড়ি থেকে শুকিয়ে যাওয়া জিন্সের প্যান্টগুলো তুলে কাঁধের ওপর জড়ো করছে। এদের মধ্যে যে একেবারেই বাচ্চা, বছর আষ্টেক বয়স হবে, সে বলল, ‘ওইদিন আমি আগুন দেখেছি। তবে বেশি লোক মরেনি। ভোট ছিল তো মুর্শিদাবাদে, অনেকে বাড়ি চলে গিয়েছিল।’
পিএফ-এর সঞ্চয়টুকুতেও হাত, চকিতে সংঘবদ্ধ বেঙ্গালুরুর পোশাক শ্রমিকরা, পিছু হটল কেন্দ্র সরকার
“বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার এন এস মেঘারিক বলেছেন, ‘আমরা কিছু প্রতিবাদীকে ডেকেডুকে কথা বলার চেষ্টা করি। তাদের দাবিগুলোও বোঝার চেষ্টা করি। কিন্তু কেউ এগিয়ে এল না। ওদের কোনো নেতা নেই। কোনো নির্দিষ্ট দাবিও নেই। শুধু ন্যায়বিচারের চাহিদা আছে। ওদের মধ্যে অনেকেই ইপিএফ স্কিমের সংযোজনী ঠিক কী হয়েছে, সে বিষয়ে ঠিকঠাক জানেও না।'”
মুন্নারে নারী চা-শ্রমিক ধর্মঘট : ‘পুরুষ নয়, ইউনিয়ন নয়; ওদের মদ খাইয়ে ভুল বোঝানো সোজা’
সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে কেরালার মুন্নার এলাকায় চা-বাগানের পাতা তোলার কাজে নিযুক্ত সাত হাজার নারী-শ্রমিক টানা ৯ দিন ধর্মঘট করেছেন। হতবাক নেতারা বলছেন – আমরা তো সর্বদা এদের সুযোগ সুবিধা আদায়ের জন্য লড়ছি। এখন এরা আমাদের বিশ্বাস করছে না।
ব্রেসব্রিজে বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের এক ঘণ্টার রেল রোকো
১০ জুন, প্রদীপ জানা, মেটিয়াবুরুজ# রেল রোকোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল চার-পাঁচ মাস আগে। এর আগে একবার কর্মসূচি পিছিয়ে দিয়ে শেষপর্যন্ত গতকাল হল। গতকালের তারিখটাও ঠিক হয়েছে মাসখানেক আগে। রেল রোকোর পিছনে মোদ্দা কথা ছিল এই, এর আগে বামফ্রন্টের আমলে বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের যে বেকারভাতা স্থির হয়েছিল তার পরিমাণ বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করা, ইএসআই কার্ডটাকে রানিং […]
- 1
- 2
- 3
- …
- 12
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য