মহামারীর বাজারে এখন গণউদ্যোগের জোয়ার। সচেতনতার বার্তা দিতে টি.ভি., রেডিও, টেলিকম সার্ভিস, প্রশাসন, ক্লাব, পুজামন্ডপ, ঠাকুরবাড়ি, এন.জি.ও.- সক্রিয়তায় ফাঁকি রাখছেন না কেউ। এদিকে বাজারে এখন মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ডের বিক্রিবাটা ব্যাপক। এতদিন রাজনৈতিক নেতারা নিজ নিজ দলীয় প্রতীক মাস্কে এঁকে আত্মসচেতনতার বার্তা দিয়েছেন, কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বাজারে তেরঙা মাস্ক আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে হুড়িয়ে প্রতিবাদ, এভাবে থুতু কফ সর্দি শ্লেষ্মা তেরঙা নিশান থুড়ি মুখোশে লেগে গেলে দেশদ্রোহীতার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। আর এর মধ্যেই ১৫ই সকালে পাড়ায় পাড়ায় অলিতে গলিতে ক্লাবে লবিতে বন্ধ স্কুল কলেজে রেলস্টেশনে বেজে উঠল স্বাধীনতার নহবৎ। যারা ছুটিতেই ছিলেন কিম্বা যাদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারাও এই পাওনা ছুটির ময়দানে গোল্লাছুট খেলে নিলেন।
‘সাবঅল্টার্ন কথা বলতে পারে, কথা বলছে; আপনারা শুনতে চান তো?’
আমি বলি, সাবঅল্টার্নরা কথা বলতে পারে। এবং তারা কথা বলতে পারে সম্ভ্রমের সঙ্গে। আপনারা কি শোনার জন্য তৈরি? আপনারা তো কখনোই শুনতে চাননি — রাহুল সোনপিম্পলে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য