নয়া সংবিধানের খসড়া নিয়েই মধেসী বা তরাই অঞ্চলের জনগনের আপত্তি ছিল। দুটি দাবি লোকমুখে ফিরছে। এক, তরাই এর যে সব এলাকা নয়া প্রাদেশিক বিন্যাস অনুযায়ী পাহাড়িরা নিজ অধিকারে রেখেছে তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। চাই নতুন ‘মধেস প্রদেশ’। দুই, নতুন বিধানে, মধেসী পুরুষ ভারতীয় মেয়ে বিয়ে করলে নতুন প্রজন্মকে দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হয়ে থাকতে হবে। এর বিরোধ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের বিরুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংগঠিত হিংসা ফিরে দেখা : কাউখালী হত্যাকাণ্ড (১৯৮০)
মিঠুন চাকমা, বাংলাদেশ, ২৪ মার্চ# পার্বত্য চট্টগ্রামে এযাবৎ সংঘটিত ডজনের অধিক গণহত্যার প্রথম গণহত্যাযজ্ঞটি শুরু করা হয়েছিলো রাঙামাটির কাউখালীতে। দিনটি ছিলো ১৯৮০ সালের ২৫ মার্চ। সেনা কর্তারা মিটিঙের নামে বিভিন্ন এলাকা থেকে কাউখালী বাজারে লোকজন জড়ো করেছিলো। যখন সবাই একত্রিত হয়, তখন তারা নির্বিচারে সমবেত লোকজনের উপর ব্রাশফায়ার করে। তারপরে সেনারা সেটলারদের লেলিয়ে দেয় নিরীহ-নিরস্ত্র […]
বক্সা পাহাড়ে লোসার পরবে (তৃতীয় পর্ব )
লোসার উৎসবের আমেজে সারাদিন গা ভাসিয়ে সন্ধ্যেবেলায় যখন রোভার্স ইন-এ পৌঁছলাম, শরীরে আমাদের অনেকেরই পাহাড় ভাঙার এক রাশ ক্লান্তি। তা সত্ত্বেও একটু পরে আমরা তোড়জোড় শুরু করলাম বক্সা পাহাড়ে শেষ রাতটা অন্য রকমভাবে কাটাবো বলে। আসলে ইন্দ্র থাপা সকালেই বলে রেখেছিলেন, রাতে ক্যাম্প ফায়ার হবে, যে পাহাড়ে আছি তার চূড়ায় একটি ছোটো সমতল। আগে দিনের […]
তাসি গাঁও-এ ফুবা ডুকপার সাথে কথোপকথন
লোসার উৎসবে কী কী খাওয়া-দাওয়া হয়? সারাদিন চা, বিয়ার আর হাতে তৈরি স্থানীয় নেশা পানীয় খাওয়া হবে। রাতে সিকাম দিয়ে পিকনিক হবে। আপনার দেখা ছোটোবেলার লোসার উৎসব আর এখনকার লোসার উৎসবের কোনো পার্থক্য আছে? কোনো পার্থক্য নাই। শুধু বেশি বিয়ার খাওয়া হয় এখন। আগে আমরাই ঘরে বিয়ার বানাতাম। এখন নিচের থেকে আদিবাসীরাও নাচ গান করতে […]
বক্সা পাহাড়ে লোসার পরবে (দ্বিতীয় পর্ব )
পরদিন সকালে বের হতে একটু দেরিই হয়ে গেল। পাহাড়ে সকাল সকাল হাঁটতে বেরিয়ে পড়লে হাঁটার ক্লান্তি পেয়ে বসে না। তবু যাত্রার প্রস্তুতি আর প্রাতরাশ সারতেই এই বিলম্ব। বক্সা ফোর্টের কাছে সদর বাজার এলাকায় লোসার উৎসবের কোনো আমেজ নেই। আমরা বক্সা দুয়ার থেকে তাই হেঁটে চললাম উৎসবের উৎসের দিকে। তাসি গাঁও হয়ে রোভার্স পয়েন্ট, অর্থাৎ এই […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য