বরতির বিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি উল্লেখযোগ্য জলাভূমি, যেখানে ব্যারাকপুরের মত একটি শিল্পাঞ্চলের বুকে জলাভূমিটি কিডনির মতন দাঁড়িয়ে একটি সুস্থ পরিবেশ এবং তার জীববৈচিত্রকে অক্ষুন্ন রাখছে। আরেকটি উল্লেখ্য বিষয়, এখানকার চাষিদের মধ্যে যতটা সম্ভব পাখিদেরকে বিরক্ত না করে কাজ করার প্রবণতা দেখা গেছে।
পেটের দায়ে পাখির রাজ্যে রাজা খোঁজেন চুপিচরের মানুষ। শীতের হাওয়ায় পাখির চোখে পর্যটন।।
চর ধরে অনেকদূর এগোনোর পরে মূল গঙ্গায় নৌকা প্রবেশ করতেই বাবুদা ছোট একটা বাইনোকুলারে চোখ রেখে বলল দাদা কিং বসে আছে, ক্যামেরা রেডি করে ফেলুন। আপনাদের কপাল ভালো, গতকালই যাদের নিয়ে এসেছিলাম তাদের ভাগ্যে জোটেনি। সত্যিই নিজেকে ভাগ্যবান মনে হল। রাজার মত বসে আছেন তিনি, এদিক ওদিক চাউনি তার। সে এক অনন্য অনুভূতি। দীর্ঘ সময় ধরে প্রায় তিন চার ঘন্টা নদীর বুকে ছুটে বেড়ালাম কিছু ভালো ছবি ফ্রেমবন্দী করার জন্য। অনেকদিনের শখ এই শিকারি পাখির শিকার করতে দেখার ছবি ফ্রেমবন্দী করার। তা ষোল আনা পূর্ণ হলো পূর্বস্থলী চুপিচরে এসে।
‘অতিথ পাখি অতিথ পাখি পথিক পাখির ঝাঁক’
এই বছর শান্তিপুরের গঙ্গা সংলগ্ন এলাকার নীচু জলাশয় গুলিতে কিছু খয়রা কাস্তেচরা পাখি দেখা গেলেও, সংখ্যায় অন্যবারের চেয়ে অনেক কম। প্রায় প্রতিবছরই এদের সংখ্যা কমছে। নির্বিচারে পাখি শিকার, জলাশয় হ্রাস, জমিতে কীটনাশক প্রয়োগে খাদ্যের অভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে দিন দিন কমছে এদের সংখ্যা। পাখি সংরক্ষণের সঠিক সঠিক ব্যবস্থা এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে আগামী দিনে বিরল প্রজাতির এই পাখি বিলুপ্তির পথে চলে যাবে, যা পাখিপ্রেমী মানুষের কাছে খুবই বেদনার। সেই সঙ্গে নষ্ট হবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।
বিল পাখি পরিবেশের জন্য দুটো সুখবর
সম্রাট সরকার, মদনপুর, ৩০ জানুয়ারি# ১) বয়সা বিলে মাঝেমধ্যেই আমাদের পাড়ার কয়েকজন উঠতি বয়সের ছেলে বাঁধা মাচায় বসে থাকে, গল্পগুজব করে। ঘটনা হল, ভোরবেলায় মাছ ধরতে আসত যে জেলেরা, তাদের কেউ কেউ মাছের সাথে সরালও ধরত। তো ওই ছেলেরা একদিন এক জেলের জাল ছিঁড়ে দিয়েছে, জালে সরাল দেখতে পেয়ে। ধরা পড়া সরালও ছেড়ে দিয়েছে। ওরা […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য