ঘরে ঢুকেই নাবালক ছেলেটিকে চড়, থাপ্পর মারতে থাকে। সুফিয়ানের স্ত্রী নুরুন্নেসা ভয় পেয়ে লুকিয়ে পড়েন এবং আবু নিজে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চারি দিকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। চড়, থাপ্পর ছাড়াও, ডামাট (কোদালের কাঠের হাতল) দিয়ে হাতে-পায়ের আঙ্গুলে খুব মারা হয়। মেজ ছেলের বয়স দশ। তারও চুলের মুঠি ধরেছিল পুলিশ। ওয়াসিমের কথা মোতাবেক জনা ৩০/৪০ পুলিশ ছিল, যাদের মধ্যে এক জন মহিলা, দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার, বাকিরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ান এবং সাদা পোশাকের। তবে কারও গায়ে সে বা তার মেজ আব্বা জিন্নাতুলের চোখে পড়েনি কারও পোশাকে নাম, পদ-মর্যাদা লেখা আছে কিনা। সুফিয়ানকে গাড়িতে তুলে জলঙ্গিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শিবিরে নিয়ে যায়। জিন্নাতুলকেও সঙ্গে যেতে বাধ্য করে। সকাল হলে তাঁকে বাস ভাড়া দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। তার আগে কিছু কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এখন তিনি ও পরিবারের লোকেরা বলছেন, আবু কোথায় আছেন, কেমন আছেন সেটা জানতে পারছেন না। কিছু জিনিস বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে, কিন্তু তার কোন তালিকা দেওয়া হয়নি এবং তাঁরাও জানেন না কি কি নিয়ে গিয়েছে।
‘মিডিয়ার লক্ষ্যই হচ্ছে মুসলিমদের খারাপ হিসেবে দেখানো’
টু সার্কেলস ডট নেট-এ প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে, ১১ অক্টোবর খাগড়াগড় সরেজমিন পর্যবেক্ষণের পর# খাগড়াগড় এলাকাটি বর্ধমানের বিহারী মুসলিমদের এলাকা বলে পরিচিত ছিল একসময়। এখন তা মুসলিম শিক্ষিত সমাজ, পেশাদার, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী এবং ব্যবসায়ীদের এলাকা বলে পরিচিত। বসবাসকারীদের প্রায় ৯০ শতাংশই মুসলমান। ২ অক্টোবর একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে খাগড়াগড়ের একটি ভাড়া করা দোতলা বাড়িতে দু-জন মারা […]
আফজল গুরুর নিজের কথা
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির সাংবাদিক বিনোদ কে জোশ সংসদ ভবন আক্রমণের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত দিল্লির তিহার জেলে বন্দি মুহাম্মদ আফজল গুরুর সাক্ষাৎকার নেন। সেই সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ বাংলা অনুবাদ করেছেন শমীক সরকার# আমি যখন বেড়ে উঠছিলাম, তখন কাশ্মীরে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি। মকবুল ভাটকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। কাশ্মীরের মানুষ ফের একবার ভোটে লড়াই […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য