কাচিসড়কের কাছে পাহাড়পুর রোডের ওপর মৌলানা আজাদ মেয়েদের স্কুল। সামনে আলাউদ্দিন মাস্টার কোটিপতি মানুষ, বড়ো বিজনেস ম্যান। ওঁর ছেলের দিল্লিতে শ্বশুরবাড়ি। সে বউকে পৌঁছে দিতে গিয়েছিল। ফিরে এসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেল। পরে ওর বাবাও মারা গেল। ১৩৩, ১৩৪, ১৩৫ এই তিন ওয়ার্ডে দু-তিন মাসে প্রায় আড়াইশো মানুষ মারা গেছে। ওষুধ নেই, ডাক্তার নেই। নার্সিং হোম, ডাক্তারখানা সব বন্ধ ছিল। হাসপাতালগুলোও বদমায়েসি করেছে, যারা গেছে রোগি নিয়ে, ফিরিয়ে দিয়েছে। হার্টের পেশেন্ট, সুগার পেশেন্ট — বয়স্ক লোক বেশি, কিন্তু কমবয়সিরাও ছিল — সব রকম পেশেন্ট, বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। একমাত্র মেটিয়াবুরুজ হাসপাতালে কিছু কাজ হয়েছে। কিন্তু ওখানে করোনার চিকিৎসা হয় না। যারা পয়সাওয়ালা তারাই করোনায় মরেছে। আর গরিব লোকে মরেছে না খেয়ে কিংবা বিনা চিকিৎসায়। লকডাউন যদি করতেই হত, পাঁচদিন অন্তত সময় দেওয়া উচিত ছিল। যারা বাইরে গিয়েছিল, যে যার ঘরে ফিরে আসত। সবার আগে দিল্লি আক্রান্ত হয়েছে। সব জায়গার খবর জানি না। তবে শুনেছি হরিবাবুর বস্তিতে একজন করোনায় মারা গেছে। করোনার যেরকম গুজব ছিল মেটিয়াবুরুজ নিয়ে, সেরকম কিছু হয়নি এখানে।
চিকিৎসা সঙ্কট ও পরিত্রাণের এক পন্থা
বিলাস শতপথি, কোচবিহার, ৩ আগস্ট# ঘটনাটা শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের মে মাসে। বাবার মনে হচ্ছিল মাঝে মাঝে হার্টের একটা করে বিট মিস হচ্ছে। জেনারেল ফিজিসিয়ানকে দেখানোর পর ওনার পরামর্শ মতো মেডিসিন-এ এমডি এক ডাক্তারবাবুকে দেখানো হয়, তিনি ইসিজি এবং ২৪ ঘন্টার হোলটার মনিটর করতে বলেন। সেইসব পরীক্ষা করার পরেও হৃদযন্ত্রের সেরকম কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি, […]
চিকিৎসা মরীচিকা
স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশার কথা আমাদের কাগজে তো বটেই, বড়ো মিডিয়াতেও ঘুরে ফিরে আসে। কলকাতার তুলনায় মফস্সলে এই বেহাল দশা আরও প্রকট। প্রাইভেট নার্সিং হোম থেকে সরকারি হাসপাতাল, সব জায়গাতেই এই বেহাল দশা স্পষ্ট। রোগীর বা তাদের আত্মীয়-স্বজনের বয়ানে অসন্তোষের কথা আমরা শুনে থাকি। আমাদের কাগজে দুটি সংখ্যা জুড়ে আমরা সেই বেহাল দশার স্বীকারোক্তির কথা […]
আলোচনা : ‘স্বাস্থ্যসেবার অযৌক্তিকতা’ (শেষাংশ)
জিতেন নন্দী, ২২ জুন# ‘স্বাস্থ্য পরিষেবার অযৌক্তিকতা’ শীর্ষক আলোচনার প্রথম অংশে ডাঃ পীযূষ কান্তি সরকার এবং স্থবির দাশগুপ্তের অভিজ্ঞতার বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে আমরা প্রথমে ডাঃ শুভাশিস মিত্রের অভিজ্ঞতার কথা দিয়ে শুরু করছি। তিনি হাওড়ার ফুলেশ্বরে ‘সঞ্জীবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল’-এর দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি ১৭ বছর বিদেশে কাজ করার পর দেশে ফিরে এই কাজে […]
আলোচনা : ‘স্বাস্থ্যসেবার অযৌক্তিকতা’
জিতেন নন্দী, ২২ জুন# ২১ জুন রবিবার এক বর্ষামুখর দিনে কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস সভাঘরে জড়ো হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পোড় খাওয়া অভিজ্ঞ চিকিৎসক। এঁরা অনেকেই সত্তর-আশির দশকের এক স্বাস্থ্য আন্দোলনের মধ্যে থেকে উঠে আসা, আজ বয়সে কিছুটা প্রবীণ। এছাড়া ছিলেন আরও কিছু সমাজকর্মী। আলোচনার বিষয় ছিল ‘স্বাস্থ্যসেবার অযৌক্তিকতা’ (Irrationality of Healthcare)। আলোচনার আগেই ইসিএল […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য