পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তার নিজস্ব স্কিম সবুজ সাথীর মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৮০ লক্ষ সাইকেল বিতরণ করেছেন, এবং খুব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেটি ১০০ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে। একদিকে সরকার ছাত্র ছাত্রীদের সাইকেল বিতরণ করছে এবং অপরদিকে ওই একই সরকার সাইকেল লেন এর বিরোধিতা করছে।
বিশ্ব গাড়ি মুক্ত দিবসে সাইকেল-চাপা-লোক ও ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথাবার্তা
জোরে গাড়ি ছোটানোর জন্য লোকে বাইপাস ব্যবহার করে, আবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে কাজের খোঁজে শহরে আগত গরীব মানুষেরা নিরুপায় হয়ে সাইকেল বেছে নেয়। কাজ নেই, রোজগার নেই, হাতে পয়সা নেই। বিপর্যস্ত মানুষ গাড়িভাড়া জোগাড় করবে কীভাবে? তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, লজঝরে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন। সাইকেলের কলকব্জা দড়ি নতুবা তার দিয়ে বাঁধা। সাইকেলে টিউবের পরিবর্তে শুকনো কলা গাছ। তিরিশ চল্লিশ এমনকি পঞ্চাশ কিঃমিঃ দূর থেকে পরিবারের মুখে একমুঠো ভাত জোগাড়ের জন্য হার না মানা জেদে এরা কলকাতায় আসছেন। কিন্তু কলকাতা শহরে রাস্তা সাইকেল চালানোর জন্য নিরাপদ নয়।
আমাদের কলকাতা চক্রাকার সাইকেল র্যালি ২০১৬
আমাদের র্যালির রুটের বহু রাস্তায় কিন্তু আইনত সাইকেল নিষেধ। আমাদের দিক থেকে ব্যাপারটা ছিল, এইসব রাস্তায় সাইকেল চালানোটাই আমাদের প্রতিবাদ ও অ্যাকশন। গত দুটো র্যালি করে আমরা দেখেছি, এতে প্রশাসনের ওপর প্রভাব পড়ে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য