নিজামুদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করলাম, অনলাইনে তো শুনলাম ভালোই কারবার চলছে। ফেসবুকে ওস্তাগররা নিজেদের পেজ তৈরি করে হোয়াট্স অ্যাপের মাধ্যমে মালের ছবি দিয়ে কেনাবেচা করছে। নিজামুদ্দিন বললেন, ‘না। ওখানেও অবস্থা তেমন নয়। আমি আমার এক বন্ধুকে ধরে মাসখানেক আগে আমার মালের ছবি ওখানে দিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত একটাও অর্ডার পাইনি। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দর্জি-কারিগরদের। সংসার চালাতে না পেরে নিজের সেলাইয়ের মেশিনটা পর্যন্ত কেউ কেউ বেচে দিয়েছে। কেউ বউয়ের গয়না বন্ধক দিয়ে খাচ্ছে। যে যেভাবে পারছে যে কোনো কাজে চলে যাচ্ছে। আমার দলিজে বসিরহাটের কারিগর ছিল, সে চাষের কাজে চলে গেছে। কী করব? মালের বিক্রিবাটা নেই, আমিও তো কাজ দিতে পারছি না।’
ওস্তাগরের দলিজে কামধান্দার খোঁজে বিহার থেকে ফিরছেন শ্রমিকরা
আমরা পনেরো বছর ধরে এই লাইনে আছি, একটা তজরুবা হয়ে গেছে। যদি কাল আচ্ছা কাম কিছু পাই তো এটা ছেড়ে দেব। এক-একটা বস্তা সত্তর-আশি কেজি ওজন। আমরা ভ্যানে করে ওস্তাগরদের ঘর থেকে নিয়ে আসি, কোম্পানি লরিতে করে নিয়ে যায়। বয়স্ক লোক এই কাজ করতেই পারবে না। কেউ হয়তো এখান থেকে থোড়া পুঁজি বানিয়ে গ্রামে ছোটামোটা দোকান চালাচ্ছে।
শ্রমিক-শিশুদের কথা ১ : ওস্তাগরের ঘরে বোতাম টাঁকার কাজ করে সামাদ
১২ জানুয়ারি, জিতেন নন্দী# কেনা, সামাদ আর মেহরাজ — তিন বন্ধুর মধ্যে সামাদের চেহারাটাই রুক্ষ, এই শীতের সন্ধ্যায় গায়ে তেমন গরম জামা নেই, পরনের মলিন লুঙ্গিটা পায়ে লুটোচ্ছে। ওর বয়স এগারো বছর। কেনা ওর চেয়ে দু-বছরের বড়ো। কিন্তু মাথায় সামাদ কেনার চেয়ে লম্বা। কেনা কথা বলে স্পষ্টভাবে চেয়ে, সামাদ কথা বলে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে। আমি […]
মেটিয়াবুরুজের দর্জিশিল্পে জব্বার সাহেবের ভূমিকা
২৭ ডিসেম্বর, শাকিল মহিনউদ্দিন, মেটিয়াবুরুজ# পোশাক তৈরি শিল্পে মেটিয়াবুরুজ-মহেশতলার নাম আজ সকলেরই জানা। এই অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দার রুটি-রুজি তথা জীবিকা নির্বাহের অন্যতম মাধ্যম হল এই পোশাক শিল্প। একদা এই অঞ্চলের দর্জিরা মেমসাহেব এবং কলকাতা ও তার আশেপাশের অভিজাত পরিবারের অর্ডারি পোশাক সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করত। কাজের বাহারি মুন্সিয়ানায় দর্জিদের বেশ খ্যাতিও ছিল, মিলত ভালো […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য