গুরদোয়ারার সামনে পৌঁছে জানতে পারলাম, কলকাতার মুসলমান সমাজের কিছু মানুষও এই জমায়েতে শামিল হচ্ছে। মিছিল শুরু হতে হতে বারোটা হয়ে গেল। গুরদোয়ারার একজন সন্ত গুরমুখী ভাষায় কিছু বললেন। তাঁর বক্তব্য শেষ হল একটা আওয়াজের মধ্য দিয়ে : ‘যো বোলে সো নিহাল, সৎ শ্রী অকাল’। প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই প্রতিবাদ মিছিলের মাঝে বারবার উঠেছে এই আওয়াজ। দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিং-এর সময় থেকে শিখেরা এই জয়ধ্বনি দিয়ে কোনো লড়াই শুরু করে এসেছে।
মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে বাংলার কৃষক বিজেপি সাংসদ ও নেতাদের বয়কটের সংকল্প নিল
ইস্ট ইন্ডিয়ার কোম্পানির মতো অত্যাচারী বনিক এবং ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য গান্ধীজী লড়াই করেছিলেন কিন্তু এখন আবার দেশী বিদেশী ব্যাবসায়ী ও সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে দেশকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। সম্প্রতি পাশ হওয়া তিনটে কৃষক বিরোধী ও কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষাকারী আইন দ্বারা দেশের কৃষি ব্যবস্থা ও খাদ্য শৃঙ্খল মুনাফাবাজ কালোবাজারীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামীদিনে দেশের কৃষি ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ একচেটিয়া পুঁজিপতিদের হাতে চলে যাবে। স্বাধীন কৃষক পরাধীন মজুরে পরিণত হবে।
২রা অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী ব্যাপক কৃষক বিক্ষোভ ও ২৬-২৭ নভেম্বর “দিল্লী চলো” আহ্বান
ইতিহাসে এই প্রথমবার কোন কেন্দ্রীয় আইন পাস হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই দেশজুড়ে কৃষকরা প্রতিবাদ করল। এই তীব্র প্রতিবাদ, যা কৃষকদের জীবন ও জীবিকার উপর হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, ২০ টি রাজ্য জুড়ে দেখা গিয়েছে। দশ হাজারেরও বেশী জায়গায় প্রায় দেড় কোটি কৃষক “চক্কা জাম”, “ধর্না” বা বিল পোড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার মিথ্যা প্রচার করছে যে কৃষক বিক্ষোভ শুধুমাত্র উত্তর ভারতে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এই বনধ এবং বিক্ষোভের সর্বভারতীয় চরিত্রটা পরিস্কারভাবে বোঝা গেছে যখন দেশের দক্ষিণতম রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৩০০-এরও বেশি জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছে, ৩৫,০০০–এরও বেশী কৃষক রাস্তায় নেমেছে এবং ১১,০০০–এর বেশী কৃষককে রাজ্যের বিজেপি’র বন্ধু সরকার গ্রেপ্তার করেছে!! এমনকি অন্যান্য সংগঠন এবং কোনও সংগঠনের সাথে জড়িত না থাকা কৃষকরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বনধ পালন করেছে। এই বনধ দেখিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই তিনটি কালো আইনকে দেশের কৃষকরা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আলুর বীমার অর্থ, কৃষিঋণ মুকুবের দাবি কোচবিহারে
প্রশান্ত রায়, কোচবিহার, ১৪ ডিসেম্বর# প্রাকৃতিক বিপর্যয় আলুর ধসা সহ নানারকম রোগ ও পোকার আক্রমণে চাষিরা ফসল পাচ্ছে না। অন্য দিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণের অভাবে নিম্নমানের বীজ সার কীটনাশক ইত্যাদি প্রচুর দাম দিয়ে কিনে লাভজনক ফসল না পেয়ে কৃষিজীবীরা দিশাহারা। এমনকি গত মরশুমে পাট ও আলু চাষিরা ফসল জলের দরে বিক্রি করে। তারপর আলুচাষের বর্তমান মরশুমে […]
আজব বিচার, প্রশাসনের রক্তচক্ষু, কর্পোরেটের স্বার্থে কৃষক আন্দোলন দমন মধ্যপ্রদেশে
সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, কলকাতা, ৮ নভেম্বর, তথ্যসূত্র এনএপিএম-এর বিভিন্ন প্রেস বিজ্ঞপ্তি, http://www.sangharshsamvad.org/ # গত একমাস ধরে মধ্যপ্রদেশে ছিন্দওয়াড়া জেলায় আদানি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে কৃষক ও গ্রামবাসীদের আন্দোলনের ওপর ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে মধ্যপ্রদেশ সরকার, প্রশাসন, এবং বিচারব্যাবস্থা — সম্মিলিতভাবে। আদানি পাওয়ার, একটি কর্পোরেট বিদ্যুৎ কোম্পানি ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য