শমীক সরকার, ধর্মতলা, ৭ মে#
আজ বিকেল তিনটে নাগাদ ধর্মতলা চত্বর দিয়ে গণেশ এভিনিউ এর দিকে যেতে কেসি দাসের মিষ্টির দোকান পেরিয়ে প্যারাডাইস সিনেমা হলের কাছে এদের দেখে চোখ আটকে গেল। রাস্তার এক পাশে বাবা-ছেলে বসে ঠাকুর দেবতার ছবি আঁকছে। বাবার নাম বিষ্ণু, টালিগঞ্জে থাকে। আর ছেলের নাম কি? রাজু।
বড়োবাজার থেকে নানা রঙের চকখড়ি কিনে তা দিয়ে আজ এঁকেছে মা তারা আর শিব ঠাকুরের ছবি। সেই ছবির ওপর এক টাকা দু টাকা পাঁচ টাকার কয়েন। কয়েকটা দশ টাকার নোট।
রোজ এখানে আঁকেন নাকি? শনি, মঙ্গল আর সোম। শুধু ঠাকুর দেবতার ছবি। খালি কালী ঠাকুর? না, সোমবার শিবঠাকুর এঁকেছিলাম, জানালেন বিষ্ণু। সারাদিন ধরে রোদের মধ্যেই আঁকি। কিছুদিন আসতে পারিনি, শরীরটা খারাপ ছিল।
বিষ্ণু কথা বলছিলেন, আর মাঝে মাঝেই ছোট্ট ছেলে রাজুর দিকে তাকিয়ে হাঁক পাড়ছিলেন, চা টা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে বাবা, খেয়ে নে। ছেলে তো আঁকায় মশগুল। একটা সস্তার বিস্কুট আর চা আছে পাশে।
ছেলের দিকে তাকিয়ে আমি চোখ নাচালাম। রাজু ভেংচি কেটে দিল আমাকে।
Leave a Reply