আজ শ্রাবণ মাসের ১৫ তারিখ, গোটা ফলতা ব্লকের বেশিরভাগ জমিতেই রোয়া বাকি। মাঠে জল জমেনি। মাঝে একটা কোটালে (আষাঢ় মাসের শেষ কোটালে) জল উঠলেও সব জমি সে জল পায়নি। তার ফলে যারা চাষের ওপর একান্ত নির্ভরশীল তারা অনেকে বুঝে উঠতে পারেনি কী করবে। এবারে গরম পড়েছিল প্রচণ্ড। বৈশাখ মাসের দিকে যখন খোরোর ধান ওঠার সময়, তখন অল্পসল্প বা কখনো বৃষ্টির সাথে ঝড়। তাতে সাত তাড়াতাড়ি করে ধান তুলেছে লোকে। তারও আগে ফাল্গুনের শেষে আর চৈত্র মাসের দিকে শিলাবৃষ্টি হতে সবে থোড় আসা ধানের ক্ষতি হয়েছিল খুব। সার, বিষ, হাল সব দেনাদুনি করে, জমিও আগাম টাকায়, গতর খাটিয়ে আড়াই বিঘে জমি চাষ করে চার বস্তা ধান পেয়েছেন। তাও অনেক ধান চিটে হয়েছে, খোরাকিটাও হবে না, দেনা শোধ করা তো দূরের কথা।
চালু একটা শ্লোক আছে হিন্দু চাষিদের মধ্যে — কী জানি কী পাঁজি পুঁথি, আষাঢ় মাসের সাড়ে সাত দিনে অম্বুবাচি। আর এই অম্বুবাচির আশপাশের মধ্যেই বীজতলা তৈরি শেষ করে ফেলার কথা। ওই সময় থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে তাপমান কমতে শুরু করে। এবারও সবেবরাতের পর ২১ আষাঢ় প্রথম ফলতা ব্লকে ভারী বৃষ্টি হল। তারপর মাঠে হালকা রস ছিল, কিন্তু তা হাল করার মতো নয়। এই শ্রাবণ মাসের ৪/৫ তারিখ থেকে বৃষ্টি নামল, ভালো করে তাতে জল জমল। তাও সমস্ত মাঠে নয়, ফলতা দোস্তিপুর রোডের ওপর ৪ নং-এ নেমে নিত্যানন্দপুর বা দিঘিরপার নস্করপুর রোডে। ভাতারের পোলের কাছে সহলা-কাঁটাফুলি/হরিশপুর এই সমস্ত মাঠ খালা প্রকৃতির, আর তাই জলের চাপটাও সমস্ত সময় বেশি থাকে।
ছবি ও খবর পার্থ কয়াল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে
Leave a Reply