সৌভিক মুখার্জী। অশোকনগর। ১৪ নভেম্বর, ২০২০।#
সাধারণ পথচারী, খেটে খাওয়া মানুষের সাইকেল লেনের দাবিতে ১৩ নভেম্বর অশোকনগর শেরপুর এপিএ ক্লাব-এর মাঠ থেকে আওয়ালসিদ্ধি পর্যন্ত দীর্ঘ সাইকেল মিছিলে অংশ নেয় (সতেরো থেকে সত্তর) প্রচুর স্কুল কলেজের সচেতন ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ। স্থানীয় ‘বহু’ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ভূমিকা ছাড়া এটা সম্ভব হতনা।
কল্যাণী রোড এবং যশোর রোডের সংযোগকারী রাস্তাটি বর্তমানে সম্প্রসারনের কাজ চলছে। রাস্তাটি জিরাট রোড বা নৈহাটি রোড নামেও পরিচিত। রাস্তার দুপাশে রয়েছে মাগুরখালী, সব্দালপুর, মহিষপুকুর, শুড়িয়া সহ অসংখ্য ছোট বড় গ্রাম। রোজকার জীবিকার তাগিদে গ্রাম থেকে অসংখ্য শ্রমিক, কৃষক, হকার ও অন্যান্য কাজের সাথে যুক্ত শ্রমজীবী মানুষেরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। বেশিরভাগেরই একমাত্র সহায় সাইকেল। কেউ বা পায়ে হেঁটে। সাইকেলে চেপে যাতায়াত করে স্থানীয় স্কুলগুলির ছেলেমেয়েরা।
সাইকেল একদিকে যেমন পরিবেশ বান্ধব তেমনি গরীব, শ্রমজীবী, ছাত্রছাত্রী সর্বোপরি সমাজের সকলের উপকারী বন্ধু। এই করোনাকালীন লকডাউনে যার ভূমিকা আমরা সকলেই কমবেশি দেখেছি। রাস্তাটি সম্প্রসারিত হয়ে চার লেন হলে স্বাভাবিক ভাবেই গাড়ির গতি বাড়বে। দ্রুত গতির বড় যানবাহন দখল নেবে গোটা রাস্তা। আর উন্নয়নের এই গতির মুখে মুখ থুবরে পড়বে প্রান্তিকশ্রেণীর মানুষের জীবন। তাই তাঁরা দাবি তুলছেন দোকান/হকার উচ্ছেদ না করে সম্প্রসারিত রাস্তাটিকে চিহ্নিত করে তার মধ্যেই নির্দিষ্ট লেন তৈরির, যাতে নিরাপদ ও নির্ঝঞ্ঝাট যাতায়াত করতে পারে পথচারীরা। দূরদূরান্ত থেকে নিরূপদ্রপে জীবিকার টানে যেতে পারে দুধবিক্রেতা আহাদাত মন্ডল, রাজমিস্ত্রির কাজ করা সাঈদ মন্ডলেরা। স্কুলে যেতে পারে হিজলিয়া শাহ্জালালি হাইমাদ্রাসা বা শুড়িয়ার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ হাইমাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা।
Leave a Reply