সংবাদমন্থন প্রতিবেদন। ১০ এপ্রিল।#
কর্পোরেট গোষ্ঠী আদানি-র একটি সাবসিডিয়ারি আদানি ওয়েলস্প্যান এক্সপ্লোরেশন লিমিটেড গত বছরের শেষের দিকে একটি প্রজেক্টের জন্য ৪.৩ হেক্টর জমি কিনেছিল গুজরাটের কচ্ছ জেলার আঞ্জার শহরের কাছে। ওই জমির মালিক দলিত এবং নিরক্ষর হরেশ সাভাকারা-র পরিবার এবং আরো ছ’টি পরিবার। জমির দাম প্রায় ষোলো কোটি টাকা। এর মধ্যে এগারো কোটি প্রাপ্য ছিল হরিশ সাভাকারা-র পরিবারটির।
তাদের টাকা না দিয়ে ওয়েলস্প্যান গ্রুপের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মহেন্দ্রসিং সোধা এক জবর ফন্দি আঁটে। আঞ্জার শহরের বিজেপি নেতা ড্যানি রজনীকান্ত শাহ কে সাথে নিয়ে সাভাকারা পরিবারকে বোঝায়, ওই টাকা ইলেকটোরাল বন্ড -এ “ইনভেস্ট” করতে, কারণ অতগুলো টাকা যদি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকে তাহলে ইনকাম ট্যাক্স চেপে ধরবে। কিন্তু ওই টাকা যদি শাসক দল বিজেপির ইলেক্টোরাল বন্ড-এ “ইনভেস্ট” করা হয়, তাহলে কয়েক বছর পর ঐ টাকা দেড়গুণ হয়ে যাবে। রাজি হয়ে যায় নিরক্ষর সাভাকারা পরিবার।
সেই মতো ১১ অক্টোবর ২০২৩ এগারো কোটি চোদ্দ হাজার টাকার ইলেকটোরাল বন্ড কেনে তারা। দশ কোটি টাকার বন্ড ছিল বিজেপির নামে, সেই বন্ড ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ভাঙায় বিজেপি। আর এক কোটি চোদ্দ হাজার টাকার বন্ড ছিল শিবসেনা-র নামে। সেই বন্ড ১৮ অক্টোবর ভাঙায় শিবসেনা।
অবশেষে মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে ইলেকটোরাল বন্ডের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে বললে তখন বিষয়টা লোক জানাজানি হয়। সাভাকারা পরিবারও বুঝতে পারে, তাদের সঙ্গে চিটিং হয়েছে। ১৮ই মার্চ আঞ্জার থানায় সাভাকারা পরিবার লিখিত অভিযোগ জানায়।
এই মাসের ৩ তারিখে গুজরাটি ওয়েব পোর্টাল ওয়েব নিউজ দুনিয়া এই খবরটি দেয়। তারপর কুইন্ট, নিউজলন্ড্রি, রবিশ কুমারের মতো তুলনায় মাঝারি খবরের চ্যানেল গুলোতে এটা বেরিয়েছে। কিন্তু বড়ো মিডিয়া এই খবরটি চেপে দিয়েছে, কোনো অজ্ঞাত কারণে।
Leave a Reply