রাস্তাটি সম্প্রসারিত হয়ে চার লেন হলে স্বাভাবিক ভাবেই গাড়ির গতি বাড়বে। দ্রুত গতির বড় যানবাহন দখল নেবে গোটা রাস্তা। আর উন্নয়নের এই গতির মুখে মুখ থুবরে পড়বে প্রান্তিকশ্রেণীর মানুষের জীবন। তাই তাঁরা দাবি তুলছেন দোকান/হকার উচ্ছেদ না করে সম্প্রসারিত রাস্তাটিকে চিহ্নিত করে তার মধ্যেই নির্দিষ্ট লেন তৈরির, যাতে নিরাপদ ও নির্ঝঞ্ঝাট যাতায়াত করতে পারে পথচারীরা। দূরদূরান্ত থেকে নিরূপদ্রপে জীবিকার টানে যেতে পারে দুধবিক্রেতা আহাদাত মন্ডল, রাজমিস্ত্রির কাজ করা সাঈদ মন্ডলেরা। স্কুলে যেতে পারে হিজলিয়া শাহ্জালালি হাইমাদ্রাসা বা শুড়িয়ার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ হাইমাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা।
ঘাসবন, জলাজমি কমে যাওয়ায় চোখেই পড়ে না লালমুনিয়া
আচমকা সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় মনটা খারাপ হয়ে গেল। ঠিক হাতছাড়া বলব না, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখতে পেয়েছিলাম। ভাবলাম নিশ্চয়ই আবার দেখতে পাব, প্রায় ঘন্টা দুয়েক কাটিয়ে দেওয়ার পরও কিছু দেখতে পেলাম না। বিষন্ন মনে ফিরে এলাম, ঠিক করলাম আবার আসব। পরের দুদিনও হতাশা নিয়ে ফিরলাম। অবশেষে তৃতীয় দিনে আমি তাকে ফ্রেমবন্দী করতে পারলাম।
ঝাড়গ্রামে গাছ কাটা বন্ধ রাখার অন্তর্বর্তী আদেশ দিল কোলকাতা হাইকোর্ট
উন্নয়নের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা ও পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করতে লড়াইয়ে নেমেছে স্বরাজ ইন্ডিয়া। সম্প্রতি সূত্রের মাধ্যমে খবর আসে উন্নয়নের নামে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন নির্বিচারে সবুজ ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেলপাহাড়ী–বাঁশপাহাড়ী রোডে প্রাচীন গাছ সহ প্রায় ১৭৪ টি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। খবর পেয়েই স্বরাজ ইন্ডিয়ার ঝাড়গ্রাম জেলা শাখা স্থানীয় জনমত সংগ্রহ করে এই তুঘলকী অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন নেমে পড়ে।
বিশ্ব গাড়ি মুক্ত দিবসে সাইকেল-চাপা-লোক ও ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথাবার্তা
জোরে গাড়ি ছোটানোর জন্য লোকে বাইপাস ব্যবহার করে, আবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে কাজের খোঁজে শহরে আগত গরীব মানুষেরা নিরুপায় হয়ে সাইকেল বেছে নেয়। কাজ নেই, রোজগার নেই, হাতে পয়সা নেই। বিপর্যস্ত মানুষ গাড়িভাড়া জোগাড় করবে কীভাবে? তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, লজঝরে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন। সাইকেলের কলকব্জা দড়ি নতুবা তার দিয়ে বাঁধা। সাইকেলে টিউবের পরিবর্তে শুকনো কলা গাছ। তিরিশ চল্লিশ এমনকি পঞ্চাশ কিঃমিঃ দূর থেকে পরিবারের মুখে একমুঠো ভাত জোগাড়ের জন্য হার না মানা জেদে এরা কলকাতায় আসছেন। কিন্তু কলকাতা শহরে রাস্তা সাইকেল চালানোর জন্য নিরাপদ নয়।
‘অতিথ পাখি অতিথ পাখি পথিক পাখির ঝাঁক’
এই বছর শান্তিপুরের গঙ্গা সংলগ্ন এলাকার নীচু জলাশয় গুলিতে কিছু খয়রা কাস্তেচরা পাখি দেখা গেলেও, সংখ্যায় অন্যবারের চেয়ে অনেক কম। প্রায় প্রতিবছরই এদের সংখ্যা কমছে। নির্বিচারে পাখি শিকার, জলাশয় হ্রাস, জমিতে কীটনাশক প্রয়োগে খাদ্যের অভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে দিন দিন কমছে এদের সংখ্যা। পাখি সংরক্ষণের সঠিক সঠিক ব্যবস্থা এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে আগামী দিনে বিরল প্রজাতির এই পাখি বিলুপ্তির পথে চলে যাবে, যা পাখিপ্রেমী মানুষের কাছে খুবই বেদনার। সেই সঙ্গে নষ্ট হবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।
- « Previous Page
- 1
- 2
- 3
- 4
- …
- 29
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য