গুরদোয়ারার সামনে পৌঁছে জানতে পারলাম, কলকাতার মুসলমান সমাজের কিছু মানুষও এই জমায়েতে শামিল হচ্ছে। মিছিল শুরু হতে হতে বারোটা হয়ে গেল। গুরদোয়ারার একজন সন্ত গুরমুখী ভাষায় কিছু বললেন। তাঁর বক্তব্য শেষ হল একটা আওয়াজের মধ্য দিয়ে : ‘যো বোলে সো নিহাল, সৎ শ্রী অকাল’। প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই প্রতিবাদ মিছিলের মাঝে বারবার উঠেছে এই আওয়াজ। দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিং-এর সময় থেকে শিখেরা এই জয়ধ্বনি দিয়ে কোনো লড়াই শুরু করে এসেছে।
তাঁতের হাটে পোস্টার হাতে আন্দোলন। প্রশ্ন উঠছে, করোনা-আতঙ্ক ছড়ানো কি ইচ্ছাকৃত
আনলক পর্বে এখনও স্কুল বন্ধ প্রায় আট মাস। লোকাল ট্রেন চলছে না। দেশের বেশির ভাগ মানুষের হালৎ ভয়ঙ্কর খারাপ। শ্রমিক মজুর বেরোজকারী হয়ে বসে আছে। এসব নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যাথা নেই। মানুষের রুজিরুটি নিয়ে সরকারের কোনো কথা নেই অথচ মানুষের মুখে মাস্ক নেই কেন তা নিয়ে পাবলিককে নাজেহাল করার প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। অথচ প্রথম থেকেই মাস্ক নিয়ে ‘হু’ এবং ‘সরকারী স্বাস্থ্য দফতর’-এর নির্দিষ্ট কোন গাইড লাইন নেই। স্বাস্থ্য দফতর কখনো বলছে এন-৯৫ মাস্ক, কখনো গামছা, কখনো কাপড়। অথচ মাস্ক ব্যবহারকারীদের অনেকেরই শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু এন-৯৫ মাস্কে ভাইরাস আটকায় এমন কোনো প্রমাণ নেই। আন্দোলনকারীদের অন্যতম জগদীশ চন্দ জানান – সরকারের দফতর থেকে তথ্য জানার অধিকার আইনে ‘মাস্ক বাধ্যতামূলক’ এরকম জানা যায়নি। আন্দোলনকারীদের মূল অভিযোগ মিডিয়ার বিরুদ্ধে। মেন স্ট্রিম মিডিয়াই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বেশি, তথ্য গোপন করছে-
জিভ কেটে নিলেও দলিত বাল্মীকিরা গর্জে উঠছে রামায়ণে শম্বুক হত্যার শোধ নিতে
আজ ২ টো থেকে শিমলা ডিসি অফিস, মল রোডের সামনে অভূতপূর্ব বিদ্রোহ। বাল্মীকি (সাফাই কর্মীদের) সমাজ দলিত আন্দোলনে খুব কম যোগ দেয়। এরা হিন্দু মতে থাকে ও সরকারের পক্ষেই থাকে। বোধহয় এই প্রথম এরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ল। যোগি সরকার যেমন নির্মম ও সব রীতি দলন করে ধর্ষিতার শেষকৃত্যও পরিবারকে করতে দিলনা, এটা এদের ধৈর্যের সব সীমা ভেঙে দিল। অন্য সকল দলিত সহ ও অনেকে মিলে (২০০ হবে) ঘন্টা তিনেক মোদি-যোগী সরকারকে তারস্বরে ভর্ৎসনা করল। অনেক তরুণ মেয়ে ছিল। শিমলা ফুটছে। সিপিএম, কংগ্রেস সকলে শক্ত প্রতিবাদ করছে। জেলায় জেলায় এরকম হচ্ছে।
২রা অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী ব্যাপক কৃষক বিক্ষোভ ও ২৬-২৭ নভেম্বর “দিল্লী চলো” আহ্বান
ইতিহাসে এই প্রথমবার কোন কেন্দ্রীয় আইন পাস হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই দেশজুড়ে কৃষকরা প্রতিবাদ করল। এই তীব্র প্রতিবাদ, যা কৃষকদের জীবন ও জীবিকার উপর হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, ২০ টি রাজ্য জুড়ে দেখা গিয়েছে। দশ হাজারেরও বেশী জায়গায় প্রায় দেড় কোটি কৃষক “চক্কা জাম”, “ধর্না” বা বিল পোড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার মিথ্যা প্রচার করছে যে কৃষক বিক্ষোভ শুধুমাত্র উত্তর ভারতে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এই বনধ এবং বিক্ষোভের সর্বভারতীয় চরিত্রটা পরিস্কারভাবে বোঝা গেছে যখন দেশের দক্ষিণতম রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৩০০-এরও বেশি জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছে, ৩৫,০০০–এরও বেশী কৃষক রাস্তায় নেমেছে এবং ১১,০০০–এর বেশী কৃষককে রাজ্যের বিজেপি’র বন্ধু সরকার গ্রেপ্তার করেছে!! এমনকি অন্যান্য সংগঠন এবং কোনও সংগঠনের সাথে জড়িত না থাকা কৃষকরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বনধ পালন করেছে। এই বনধ দেখিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই তিনটি কালো আইনকে দেশের কৃষকরা প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিশ্ব গাড়ি মুক্ত দিবসে সাইকেল-চাপা-লোক ও ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথাবার্তা
জোরে গাড়ি ছোটানোর জন্য লোকে বাইপাস ব্যবহার করে, আবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে কাজের খোঁজে শহরে আগত গরীব মানুষেরা নিরুপায় হয়ে সাইকেল বেছে নেয়। কাজ নেই, রোজগার নেই, হাতে পয়সা নেই। বিপর্যস্ত মানুষ গাড়িভাড়া জোগাড় করবে কীভাবে? তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, লজঝরে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন। সাইকেলের কলকব্জা দড়ি নতুবা তার দিয়ে বাঁধা। সাইকেলে টিউবের পরিবর্তে শুকনো কলা গাছ। তিরিশ চল্লিশ এমনকি পঞ্চাশ কিঃমিঃ দূর থেকে পরিবারের মুখে একমুঠো ভাত জোগাড়ের জন্য হার না মানা জেদে এরা কলকাতায় আসছেন। কিন্তু কলকাতা শহরে রাস্তা সাইকেল চালানোর জন্য নিরাপদ নয়।
- « Previous Page
- 1
- 2
- 3
- 4
- 5
- …
- 25
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য