পদযাত্রীদের পাশে এগিয়ে এলেন কয়েকজন পথচারী। একজন এসে কিছু কথাও বললেন। তারপর পদযাত্রীদের সঙ্গে কয়েকজন হাঁটতে শুরু করলেন। কিছু দূর হেঁটে ফিরে গেলেন। এঁরা সকলেই ছিলেন শিখ সমাজের মানুষ।
আমাদের পথ অবরোধে সব চাষি যোগ দেয়নি
আমার কথা হল, আমরা কৃষকরা চাষ করব, আমাদের ফসল আমরা কৃষকরা বেচব, আমি একজনের হাতে তুলে দেব কেন? তার হেল্লা হয়ে আমি চাষ করব কেন? তুমি পুঁজি দেবে, আমি চাষ করব? আমার পুঁজি নেই? তোমার গোলায় ফসল তুলে দেব কেন? লস হলে আমায় মেনে নিতে হবে।
পথচলতি জটলা থেকে প্ল্যাটফর্মের সভা – সব পথ মিলে যাচ্ছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে- দিল্লির কৃষক জমায়েতে
হঠাৎই কানে গেল, জমায়েতের বাইরে দাঁড়িয়ে কেউ কিছু বলছেন। আমি বললাম, বাইরে না, জমায়েতেই আপনি আপনার কথা বলুন। অনুরোধ জানালাম। নিজের কথা শুরু করলেন শেখ ওসমান : আমার দর্জিভাইদের বলি। আমরা যে কাপড় সেলাই করি, বলো তো সেই কাপড় কী দিয়ে তৈরি হয়? জমায়েত থেকে উত্তর এল — ‘সুতো’। — সুতো কোত্থেকে আসে? — ‘তুলো থেকে’। — আর এই তুলো আসে আমাদের চাষিভাইদের কাছ থেকে। তাদের পেটে লাথি পড়েছে। আমরা কি চুপ করে থাকব?
নয়া কৃষি আইন রদের অনড় দাবীতে আন্দোলনকারীরা নিজেরাই নিজেদের মিডিয়া হয়ে উঠছেন
দুই পরিবারের উল্লেখ করি। রমেশ বেরওয়া কলেজের শিক্ষক এবং তাঁর সাথি রাইসা ওঁদের ছেলে, দেওর ও তাঁর স্ত্রী সহ পুরো পরিবার নিয়ে এই আন্দোলনে এলেন। দু-বছরের একটা বাচ্চাও ওঁদের সঙ্গে আছে। ওকে কিছুক্ষণ কোলে নিয়ে খেলা করলাম। আমার নাতি লিচ্চির কথা মনে পড়ল। গত আঠারো দিন ভিডিও কলে মাঝে মাঝে ওর সঙ্গে কথা বলেছি। দ্বিতীয় পরিবারে এসেছে যোধপুরের আইনজীবী কিসন মেঘওয়াল, ওঁর স্ত্রী আর বাচ্চা।
মাইনে বন্ধ কয়েকমাস। প্রতিবাদে নিঃশব্দে সবকিছু থামিয়ে দিয়েছেন কর্ণাটকের সরকারি পরিবহন কর্মীরা।।
গত কয়েকমাস ধরে এখানে পরিবহনকর্মীরা মাইনে পাচ্ছেন না। আসলে এম.এল.এ., এম.পি. এসব কিনতে সব খরচা হয়ে গেছে। কেন্দ্র থেকে জি.এস.টি.র টাকাও পাচ্ছেনা রাজ্য সরকারগুলি। তাছাড়া ইয়েদুরাপ্পার খরচও আছে। এমতাবস্থায় সরকারি বাস ড্রাইভার, কনডাক্টর সকলে মিলে নিঃশব্দে সবকিছু থামিয়ে দিয়েছে।
- « Previous Page
- 1
- 2
- 3
- 4
- …
- 25
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য