১৩ সেপ্টেম্বর, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী#
আমি ২০১১ সালের মাঝামাঝি বন্ধন মাইক্রোফাইনান্স কোম্পানিতে যুক্ত হই। পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটা শাখায় বদলি হয়ে কাজ করার পর আমি ঝাড়খণ্ডের একটা শাখায় বদলি হই। ২০১৪ সালের এপ্রিল নাগাদ বন্ধন ব্যাঙ্ক হিসেবে স্বীকৃতি আর লাইসেন্স পায়। ব্যাঙ্ক হিসেবে চালু হয় ২৩ আগস্ট ২০১৫-তে। প্রায় ছশো শাখা খোলার কথা, আর দু-মাসের মধ্যেই সব হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাতে এর শাখা আছে। আমি শুনেছি ২০০১ সালে হাওড়ার লিলুয়া থেকে বন্ধন শুরু হয়েছিল।
চার বছর ধরে কাজ করার পর ওরা বলছে যে আমাদের কন্ট্রাক্টে রাখবে। কাজ অনুযায়ী পারলে আমাদের পার্মানেন্ট করা হবে। যদি কাজ সেরকম না থাকে তাহলে আমাদের বাড়ি চলে যেতে হবে। চার-পাঁচ বছর ধরে যারা কাজ করছে, স্বভাবতই তারা জিজ্ঞেস করেছে যে কেন আমাদের পার্মানেন্ট করা হচ্ছে না? ওরা বলছে, এটাই এখন নিয়ম হয়েছে, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আপনারা পাবেন। ফিল্ড লেভেলে ডিভিশনাল ম্যানেজার পার্মানেন্ট। ওটা একটা ক্যাটেগরি। আমরা যারা ডিএসসি ক্যাটেগরিতে আছি শাখাগুলোতে, যেখানে ১০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত ডিপোজিট রাখা যায়, তাদের আপাতত কন্ট্রাক্টে থাকতে হবে। তার ওপরে ব্যাঙ্ক, সেখানে স্টাফরা পার্মানেন্ট। বিহারে একটা শাখায় শুনেছি গণ্ডগোল হয়েছে। কন্ট্রাক্টে সই করানোর জন্য জোর-জবরদস্তি করার সময় কথা কাটাকাটি করতে করতে হাতাহাতি হয়ে যায়। কিছু কিছু শাখায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একজন একজন করে ডেকে কন্ট্রাক্টে সই করানো হচ্ছে। আমাদের শাখায় রিজিওনাল ম্যানেজারের কাছে কন্ট্রাক্ট ফর্ম এসে গেছে, আমাদের এখনও সই করানো হয়নি।
আমরা ভেবেছিলাম বন্ধন ব্যাঙ্ক হচ্ছে, আমরা এতদিন কাজ করছি, আমাদের পার্মানেন্ট করা হবে। কিন্তু সেটা হল না।
প্রতিভা সরকার says
আপনাদের দাবীর ন্যায্যতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।