শান্ত পাহাড়ের বুকে এখন বুক কাঁপানো গর্জন মেশিনের। বড়ো বড়ো জেসিবি মেশিন দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে। দুপাশে হাজার হাজার বৃক্ষ উপড়ে ফেলা হচ্ছে প্রতিদিন। ট্রাকে বোঝাই হয়ে সেই কাটা গুঁড়িগুলো চলে যাচ্ছে শিলিগুড়ির দিকে। হাইওয়ে তৈরি হচ্ছে। লোকের মুখে জানতে পারি, এই হাইওয়ে যাবে কালিম্পঙ জেলার মধ্য দিয়ে সিকিম-সীমান্তে নাথু-লা পর্যন্ত। ভারত-চীন সীমান্তে যে গোলযোগের কথা আমরা গত কয়েক বছর ধরে শুনছি, সেখানে চীনের সঙ্গে সামরিক মোকাবিলা করার আয়োজনের অঙ্গ এই দীর্ঘ হাইওয়ে। পাকদণ্ডীর মাঝে মাঝেই সরকারি সাবধানবার্তা, ধসপ্রবণ পাহাড় এই বিপুল কর্মযজ্ঞে হয়ে উঠেছে আরও বিপদসংকুল। তবে স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে কিছু জানতে পারি না — সেন্ট্রাল থেকে দেশরক্ষার জন্য চার বছরের প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে, এ নিয়ে কে আর কী বলবে
বাংলার সাধারণ গ্রামীণ মানুষ এখনও জানেন না নয়া কৃষি বিল-এর ক্ষতিকর দিকগুলি কী কী
নেপালগঞ্জের সাপ্তাহিক হাটে এক ভ্যানচালক আমাদের কাছ থেকে একটি প্ল্যাকার্ড সংগ্রহ করে তার ভ্যানে টাঙিয়ে নিলেন। একজন সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করা এবং কয়েক বিঘে ধানজমির মালিক-চাষি উত্তম বৈরাগী সাইকেলে আমাদের কাছে এগিয়ে এসে একটি পোস্টার নিয়ে নিলেন, গলায় ঝুলিয়ে নিলেন। তিনি বললেন, এই আইন সম্পর্কে গ্রামের চাষিরা ওয়াকিবহাল নয়, কিন্তু উনি শুনেছেন, এবং বিপদটা বুঝেছেন। উনি এমনও বললেন, কলকাতায় যখন মিছিল হবে, উনি দলবল নিয়ে আসতে পারেন। নেপালগঞ্জ হাট-এ থিকথিকে ভিড়, তার মধ্যে দিয়ে যাবার সময় একজন আমার সাইকেলের সামনে ছোট্ট প্ল্যাকার্ডে “চাষি বনাম …” লেখা দেখে বলল, “চাষি বনাম কর্পোরেট”, বোড়াল ছাড়িয়ে একজন দেখে বলল, “চাষি বনাম ডট কম?”।
মাইনে বন্ধ কয়েকমাস। প্রতিবাদে নিঃশব্দে সবকিছু থামিয়ে দিয়েছেন কর্ণাটকের সরকারি পরিবহন কর্মীরা।।
গত কয়েকমাস ধরে এখানে পরিবহনকর্মীরা মাইনে পাচ্ছেন না। আসলে এম.এল.এ., এম.পি. এসব কিনতে সব খরচা হয়ে গেছে। কেন্দ্র থেকে জি.এস.টি.র টাকাও পাচ্ছেনা রাজ্য সরকারগুলি। তাছাড়া ইয়েদুরাপ্পার খরচও আছে। এমতাবস্থায় সরকারি বাস ড্রাইভার, কনডাক্টর সকলে মিলে নিঃশব্দে সবকিছু থামিয়ে দিয়েছে।
পেটের দায়ে পাখির রাজ্যে রাজা খোঁজেন চুপিচরের মানুষ। শীতের হাওয়ায় পাখির চোখে পর্যটন।।
চর ধরে অনেকদূর এগোনোর পরে মূল গঙ্গায় নৌকা প্রবেশ করতেই বাবুদা ছোট একটা বাইনোকুলারে চোখ রেখে বলল দাদা কিং বসে আছে, ক্যামেরা রেডি করে ফেলুন। আপনাদের কপাল ভালো, গতকালই যাদের নিয়ে এসেছিলাম তাদের ভাগ্যে জোটেনি। সত্যিই নিজেকে ভাগ্যবান মনে হল। রাজার মত বসে আছেন তিনি, এদিক ওদিক চাউনি তার। সে এক অনন্য অনুভূতি। দীর্ঘ সময় ধরে প্রায় তিন চার ঘন্টা নদীর বুকে ছুটে বেড়ালাম কিছু ভালো ছবি ফ্রেমবন্দী করার জন্য। অনেকদিনের শখ এই শিকারি পাখির শিকার করতে দেখার ছবি ফ্রেমবন্দী করার। তা ষোল আনা পূর্ণ হলো পূর্বস্থলী চুপিচরে এসে।
অশোকনগরে ও.এন.জি.সি. তেল প্রকল্প: কয়েকটি প্রশ্ন ও অমীমাংসিত সম্ভাবনা।
কে ঠিক? ও.এন.জি.সি. নাকি পৌরপ্রশাসকেরা? ক্ষতিপূরণের টাকা পৌরসভায় জমা পড়েছে নাকি আদৌ পড়েনি? কৃষকেরা বলছেন টাকার বিলিবন্টন ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। বিঘাপ্রতি কোটি টাকার ‘বখরা’। সত্যি কিনা জানিনা। আজ বামদলের জনৈক চেনা মুখ দেখলাম। কৃষকদের এবং ও.এন.জি.সি.-র মধ্যস্থতা করতে এলেন। কৃষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি তপন দাসের জবাব – “এতদিন কোথায় ছিলেন? দুবছর ধরে লড়ছি। অবরোধ হল, অমনি চলে এলেন। আমরা কোর্টে গেছি। মামলা বিচারাধীন”। বাম নেতার পাল্টা জবাব -“অবরোধ করে কী হবে? এসব করে কী হবে?” তপন দাস স্পষ্ট বললেন -“কিছুই করব না।জমির দাম আপনারা আদায় করে দিন।” মধ্যস্থতাকারী নেতাটি চুপ করেন। তপন দাসের জবাব, “অবরোধ করেছি বলেই আপনারা আজ এলেন। না হলে কেউ জানতেও পারতেন না। জানার চেষ্টাও করেননি।” তিনি সরে পড়লেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে বোঝা গেল এরা চাইছেন প্রোজেক্ট হোক।
- « Previous Page
- 1
- …
- 4
- 5
- 6
- 7
- 8
- …
- 283
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য