ইস্ট ইন্ডিয়ার কোম্পানির মতো অত্যাচারী বনিক এবং ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য গান্ধীজী লড়াই করেছিলেন কিন্তু এখন আবার দেশী বিদেশী ব্যাবসায়ী ও সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে দেশকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। সম্প্রতি পাশ হওয়া তিনটে কৃষক বিরোধী ও কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষাকারী আইন দ্বারা দেশের কৃষি ব্যবস্থা ও খাদ্য শৃঙ্খল মুনাফাবাজ কালোবাজারীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামীদিনে দেশের কৃষি ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ একচেটিয়া পুঁজিপতিদের হাতে চলে যাবে। স্বাধীন কৃষক পরাধীন মজুরে পরিণত হবে।
জিভ কেটে নিলেও দলিত বাল্মীকিরা গর্জে উঠছে রামায়ণে শম্বুক হত্যার শোধ নিতে
আজ ২ টো থেকে শিমলা ডিসি অফিস, মল রোডের সামনে অভূতপূর্ব বিদ্রোহ। বাল্মীকি (সাফাই কর্মীদের) সমাজ দলিত আন্দোলনে খুব কম যোগ দেয়। এরা হিন্দু মতে থাকে ও সরকারের পক্ষেই থাকে। বোধহয় এই প্রথম এরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ল। যোগি সরকার যেমন নির্মম ও সব রীতি দলন করে ধর্ষিতার শেষকৃত্যও পরিবারকে করতে দিলনা, এটা এদের ধৈর্যের সব সীমা ভেঙে দিল। অন্য সকল দলিত সহ ও অনেকে মিলে (২০০ হবে) ঘন্টা তিনেক মোদি-যোগী সরকারকে তারস্বরে ভর্ৎসনা করল। অনেক তরুণ মেয়ে ছিল। শিমলা ফুটছে। সিপিএম, কংগ্রেস সকলে শক্ত প্রতিবাদ করছে। জেলায় জেলায় এরকম হচ্ছে।
২রা অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী ব্যাপক কৃষক বিক্ষোভ ও ২৬-২৭ নভেম্বর “দিল্লী চলো” আহ্বান
ইতিহাসে এই প্রথমবার কোন কেন্দ্রীয় আইন পাস হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই দেশজুড়ে কৃষকরা প্রতিবাদ করল। এই তীব্র প্রতিবাদ, যা কৃষকদের জীবন ও জীবিকার উপর হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, ২০ টি রাজ্য জুড়ে দেখা গিয়েছে। দশ হাজারেরও বেশী জায়গায় প্রায় দেড় কোটি কৃষক “চক্কা জাম”, “ধর্না” বা বিল পোড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার মিথ্যা প্রচার করছে যে কৃষক বিক্ষোভ শুধুমাত্র উত্তর ভারতে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এই বনধ এবং বিক্ষোভের সর্বভারতীয় চরিত্রটা পরিস্কারভাবে বোঝা গেছে যখন দেশের দক্ষিণতম রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৩০০-এরও বেশি জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছে, ৩৫,০০০–এরও বেশী কৃষক রাস্তায় নেমেছে এবং ১১,০০০–এর বেশী কৃষককে রাজ্যের বিজেপি’র বন্ধু সরকার গ্রেপ্তার করেছে!! এমনকি অন্যান্য সংগঠন এবং কোনও সংগঠনের সাথে জড়িত না থাকা কৃষকরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বনধ পালন করেছে। এই বনধ দেখিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই তিনটি কালো আইনকে দেশের কৃষকরা প্রত্যাখ্যান করেছে।
যেখানে অধিকাংশ চাষিই ভাগচাষি, সেখানে কর্পোরেটদের সাথে চাষির চুক্তি হবে কী করে?
অমিত কিন্তু ফড়ে তথা আড়ৎদারদের পক্ষে দাঁড়ায়। এই আড়ৎদাররাই তো চাষের সময় চাষিকে কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করে। সরকারি লোককে তখন আমরা পাব কোথায়? আবার ফসল বিক্রির সময় সরকারি লোকেদের সময় মত পাওয়া যায়না। অগত্যা আড়ৎদারই ভরসা। আর সরকারি প্রতিনিধিরাও নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে সেই আড়ৎদারদের থেকেই কেনে। কারণ সর্ষের ভিতরেই ভূত।
অমিত বলে, কৃষিবিল আসলে চাঁদার বিল না অন্যকিছু তা এখানকার চাষি জানেনা, জানতেও চায়না। সে যেভাবে বোঝে, সেভাবেই চাষ করে। কৃষিদপ্তর আর কৃষকের জমির মধ্যে থেকে যায় অনেক ফাঁক।
NIA অভিযানের নামে হানাদারদের পরিচয়ের প্রমাণ নেই। কিন্তু দুর্বল মুসলিম যুবকদের আলকায়দা যোগের প্রমাণ আছে?
ঘরে ঢুকেই নাবালক ছেলেটিকে চড়, থাপ্পর মারতে থাকে। সুফিয়ানের স্ত্রী নুরুন্নেসা ভয় পেয়ে লুকিয়ে পড়েন এবং আবু নিজে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চারি দিকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। চড়, থাপ্পর ছাড়াও, ডামাট (কোদালের কাঠের হাতল) দিয়ে হাতে-পায়ের আঙ্গুলে খুব মারা হয়। মেজ ছেলের বয়স দশ। তারও চুলের মুঠি ধরেছিল পুলিশ। ওয়াসিমের কথা মোতাবেক জনা ৩০/৪০ পুলিশ ছিল, যাদের মধ্যে এক জন মহিলা, দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার, বাকিরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ান এবং সাদা পোশাকের। তবে কারও গায়ে সে বা তার মেজ আব্বা জিন্নাতুলের চোখে পড়েনি কারও পোশাকে নাম, পদ-মর্যাদা লেখা আছে কিনা। সুফিয়ানকে গাড়িতে তুলে জলঙ্গিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শিবিরে নিয়ে যায়। জিন্নাতুলকেও সঙ্গে যেতে বাধ্য করে। সকাল হলে তাঁকে বাস ভাড়া দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। তার আগে কিছু কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এখন তিনি ও পরিবারের লোকেরা বলছেন, আবু কোথায় আছেন, কেমন আছেন সেটা জানতে পারছেন না। কিছু জিনিস বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে, কিন্তু তার কোন তালিকা দেওয়া হয়নি এবং তাঁরাও জানেন না কি কি নিয়ে গিয়েছে।
- « Previous Page
- 1
- …
- 10
- 11
- 12
- 13
- 14
- …
- 283
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য