- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

সাধারণ ডাকে দেওয়া চিঠিপত্র কবে বিলি হবে, আদৌ হবে কি না তা কেউ জানে না!

সুপ্রতীক বাগচী, কলকাতা, ২৫ আগস্ট#
অন্যান্য ক্ষেত্রে ‘আচ্ছে দিন’ এসেছে কিনা জানা নেই, কিন্তু দেশের ডাক ও টেলিকম পরিষেবার বেহাল দশায় দেশবাসীর আক্কেল গুরুম!
ডাক ব্যবস্থায় অদক্ষ কর্মচারী আর ইউনিয়নবাজির দাপটে সাধারণ মানুষের হয়রানি এ রাজ্যে কোনো নতুন খবর নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে কর্তৃপক্ষের তরফে হরেক আজব সিদ্ধান্তের পরিণতিতে জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছিয়েছে। সাধারণ ডাকে দেওয়া চিঠিপত্র কবে বিলি হবে, আদৌ বিলি হবে কি না নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কলকাতা থেকে বুকপোস্টে পাঠানো রেজিস্টার্ড পত্র পত্রিকা কলকাতার গ্রাহকদের হাতে আসতে আট-নয় দিন গড়িয়ে যাচ্ছে!

আর স্পিড পোস্টের হাল আরও করুণ। সাব পোস্ট অফিসগুলো থেকে স্পিড পোস্টিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড়ো ডাকঘরগুলিতে ভিড় বাড়ছে, অথচ কোথাও অতিরিক্ত কাউন্টার খোলা হয় না। মানি অর্ডার, রেজিস্ট্রি থেকে স্পিড পোস্ট, মায় টেলিফোন বিলের জন্যও একটাই কাউন্টার। কিছু পোস্ট অফিসে বাল্ক চিঠির জন্য অতিরিক্ত একটি কাউন্টার খোলা থাকে আর জিপিও-তে অনেক কাউন্টার থাকলেও বেশিরভাগই বন্ধ। চাহিদার অনুপাতে যথেষ্ট সংখ্যক কাউন্টার থাকলেও বেশিরভাগই বন্ধ। চাহিদার অনুপাতে যথেষ্ট সংখ্যক কাউন্টার খোলা হয় না। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো মানুষজনের হয়রানি নিত্যনৈমিত্তিক। চিঠি বিলির সময় বাঁচাতে চার থেকে দশ বারো গুণ বেশি মাশুল গুণে যে চিঠি পাঠানো, তা নিয়ে কাউন্টার অবধি পৌঁছতেই অনর্থক সময়ের অপচয় স্পিড পোস্ট ব্যবস্থাকেই হাস্যস্পদ করছে!

হালে আবার কিছু ডাকঘরে কমপিউটার বিকল হয়ে পড়ায় ভোগান্তি বাড়ছে। দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ডাকঘরে কয়েকদিন ধরে কমপিউটার বিকল থাকায় অনতিদূরে শরৎ বসু রোড ডাকঘরে ভিড় উপচে পড়ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আবালবৃদ্ধবনিতা বহু চর্চিত ‘আচ্ছে দিন’ উপভোগ করছেন কিনা তাঁরাই বলতে পারবেন!