৩১ অক্টোবর, খায়রুন নেসা, ষোলোবিঘা, মহেশতলা#
পুজোর মধ্যে বৃষ্টি হল। তারপর ঈদ যেতেই আবার একচোট ভারী বৃষ্টিতে বহু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। মহেশতলার নিউ আলিনগরে জল এখনও নামেনি, নুরনগরে অবস্থা একটু ভালো। মাকালহাটি, সুন্দরনগর, পিএম লেনে ঘরে জল উঠেছিল। পাঁচুড়ের ড্রেনগুলো জাম হয়ে আছে প্লাস্টিক আর রাজ্যের ময়লায়।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ষোলোবিঘা বস্তিতে। এলাকার বেশ কিছু অংশ জলে ডুবে আছে। সেখানে ঘরের ভিতরের জল নামছে না। সেই কারণে বাচ্চাদের ইস্কুল বন্ধ। ঘরে ঘরে আন্ত্রিক আর পেটের রোগ। এত মশার উপদ্রব যে ম্যালেরিয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। যে তিনটে নতুন টিউবওয়েল লাগানো হয়েছিল তার মধ্যে দুটোর গোড়ায় জল ভর্তি। ছোটো ছোটো বাচ্চাদের ঘরে রেখে মায়েদের কাজে বেরোনোও মুশকিল। যেখানে জল নেমে গেছে, সেখানেও স্যাঁতসেঁতে ভাব। খাটা (কুয়ো) পায়খানাগুলো জলে ডুবে থাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে চারদিকে।
আকড়া ফটকের নয়াবস্তি জলে ডুবে নেই। কিন্তু ওদের জলকষ্ট মেটেনি। জলের আর পায়খানার অভাবে যত ধরনের রোগ সব রয়েছে এখানে। ইদানীং রাবিশ আর ভাঙা ইট দিয়ে একটা রাস্তা হয়েছে। ইটভাটার মালিক, কাউন্সিলারকে ধরাধরি করে সকলে মিলে রাস্তাটা করে নিয়েছে। ইটভাটার গাড়িগুলো যায়।
Leave a Reply