কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল, শিবপুর, হাওড়া, ৩০ জুন#
শিবপুর হাওড়ার গদাধর মিস্ত্রী সেকেন্ড বাই লেনের বাসিন্দা অলোক ব্যানার্জি। তিনি নিজে পেশায় মাছ বিক্রেতা। তার নিজের কথায়, ‘ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের নিচে মাছ বিক্রি করতাম। লোক ঠকানো ভেড়ির মাছ নয়, পুকুরের মাছ। আজ ছ-মাস হলো আন্দোলন করতে গিয়ে বেকার, বাড়িছাড়া।’
ওর এলাকাতেই পাঁচ নম্বর গদাধর মিস্ত্রী সেকেন্ড বাই লেন, থানা শিবপুর, হাওড়া ৭১১১০৪, ওয়ার্ড নং ৪২ তে ছিল একটি দশ এগারো কাটা পুকুর। ১৯৯৪ সাল থেকে বেআইনিভাবে পুকুর বোজানো শুরু হলে, ৯/২/১৯৯৫ তারিখে প্রথম উনি এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে গণ পিটিশন করেন হাওড়া কর্পোরেশনে। এরপর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ওদের আবেদনের ভিত্তিতে ডিএলআরও-র নির্দেশে বার চারেক কাজ বন্ধ হয়, ফের শুরু হয়। বর্তমানে ২০১২ থেকে পুকুরের ওপরে চারতলা একটি বাড়ি নির্মাণ চলছে। গ্রীন বেঞ্চের বিচারপতি এসে দেখে গেছেন। কিন্তু কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়ার আগেই কনস্ট্রাকশন কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্মাণ চলছে।
অলোকবাবু চক্রবেড়িয়া জেলে সমিতির ষাট সত্তর জন জেলে এবং পাইকারদের নিয়ে আন্দোলন করতে সচেষ্ট। খুব শীঘ্রই ওরা আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। পরিশেষে ওনার প্রশ্ন, এইভাবেই কি হাওরা শিবপুর অঞ্চলের সমস্ত পুকুর বুঁজিয়ে বাড়ি উঠবে? তাহলে পুকুরের ওপরে নির্ভরশীল জেলে পাইকারদের জীবিকা কী হবে?
Leave a Reply