দেব রঞ্জন, উড়িষ্যা, ৩১ জুলাই#
৩০ জুলাই উড়িষ্যার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং কালাহান্ডি জেলা প্রশাসন যৌথভাবে লাঞ্জিগড়ে কর্পোরেট বেদান্তর অ্যালুমিনা প্ল্যান্টের ৬ এমটিপিএ (৬০ লক্ষ টন প্রতি বছর) অবধি সম্প্রসারণের জন্য জনশুনানির আয়োজন করে। কিন্তু ওড়িশার জনআন্দোলনের কর্মীরা এই জনশুনানির তীব্র বিরোধিতা করেছে।
আন্দোলনের কর্মীদের প্রতিনিধি প্রফুল্ল সামন্তরের বয়ান অনুযায়ী, এই জনশুনানি বেআইনি। কারণ প্ল্যান্টটি এখনকার উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি বছর ১০ লক্ষ টনের লক্ষ্যমাত্রাই পূরণ করতে পারছে না আকরিক বক্সাইটের অভাবে। সেখানে কীভাবে অতিরিক্ত বক্সাইট আসবে। আসার পথ মাত্র দুটি, এক, কারলাপাট এলাকা যা এখনই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের আওতায়; এবং দুই, নিয়ামগিরির বক্সাইট, সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং তারপর ১২টি গ্রামের গ্রামসভার পর সেখানে খনন নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। তবে কি এই নয়া উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে ডোঙরিয়া কোন্দ গ্রামসভাগুলির সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করার চেষ্টা?
তাছাড়া প্ল্যান্ট সম্প্রসারণের জন্য জল লাগে, তা আসবে কোথা থেকে? সরকারিভাবে পরিবেশের ওপর প্রভাব বোঝার জন্য যে ইআইএ রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, তাতে তেল নদীর জল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তা নিজেই তো এখন তিরতির করে বইছে। তাছাড়া এখানকার তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি, প্রায় ছেচল্লিশ ডিগ্রি। কিন্তু ইআইএ রিপোর্টে দেখানো হয়েছে চৌত্রিশ ডিগ্রি। সব মিলিয়ে এটি পরিবেশ ও মানুষ ধ্বংস করে বক্সাইট লুঠের নয়া বন্দোবস্ত ছাড়া আর কিছু নয়।
Leave a Reply