১২ ফেব্রুয়ারি, শাকিল মহিনউদ্দিন, হাজিরতন, মেটিয়াব্রুজ#
জনবহুল দর্জি-অঞ্চল মেটেবুরুজের বড়তলা। এখানে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশি। জীবন ও জীবিকার তাগিদে নিত্যদিনই এদের হাওড়া, বড়োবাজার কিংবা ধর্মতলায় যেতে হয়। যাতায়াতের জন্য এই অঞ্চলে বাসরুট থাকলেও বাস ক্রমশ অমিল হতে চলেছে। ট্যাক্সি বা অটোরিকশা করে যাতায়াত করার সামর্থ্য এদের নেই। একদা এই রুটে চলত ১২বি, এল ১৯, এস ৩৫, ২৪১-এর মতো বেশ কয়েকখানা বাস। বর্তমানে দু-চারটে ২৪১ বাস ছাড়া সমস্ত বাস পথ থেকে উধাও। চরম অবহেলার মধ্যে এভাবে বেঁচে থাকার কোনো অর্থ নেই — এভাবেই হতাশা ফুটে ওঠে লালপুলের বাসিন্দা মোঃ রফিক, কাঁঠালবেড়িয়ার সেখ নাসিরউদ্দিন এবং মকবুল হোসেন গাজীর গলায়। এদের সঙ্গে কথায় কথায় শোনা যায় — ‘আমরা অভিভাবকহীন, আমাদের হয়ে দরবার করার কেউ নেই’। এরা ভেবেছিল যে সরকার পাল্টালে হয়তো অবস্থা কিছুটা পাল্টাবে। কিন্তু কোথায় কী!
প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়, দর্জিব্যবসায়ীদের মঙ্গলাহাট বা হরিশাহাটে যাওয়ার জন্য একসময় অজস্র বাস থাকত; চালু হয়েছিল মেটিয়াব্রুজ-হাওড়া ফেরি সার্ভিস। কিন্তু এখন তা গল্প! বর্তমানে হাটে যেতে হয় খোলা ম্যাটাডোরে গাদা করা মালের গাঁটের ওপর বসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এর ভাড়াও অত্যধিক। এর ওপর রয়েছে পুলিশি হয়রানি ও জুলুম।
বেহাল রাস্তায় পাইপ বসানোকে কেন্দ্র করে গত আড়াই বছরে যে দুর্বিষহ কষ্ট ভোগ হয়েছে, তা থেকে এলাকাবাসী আজও মুক্ত হতে পারেনি। এই রাস্তায় কোনো মুমুর্ষূ রোগীকে নিয়ে যাওয়ার কল্পনাই করা যায় না। নাগরিক পরিষেবার কঙ্কালসার অবস্থা এদের সুস্থ জীবনযাপনের পথে প্রধান অন্তরায়। আর কতদিন এভাবে দিন গুজরান করা সম্ভব?
Leave a Reply