বঙ্কিম, অশোকনগর#
উত্তর চব্বিশ পরগনার দক্ষিণ হাবড়ার রাস্তা ধরে চলেছি সাইকেলে। চৈত্র মাসের তীব্র গরম। গরমের দিনের সূর্য ঢলে সন্ধ্যা নামছে। সাইকেল লিক হয়ে গেছে। রাস্তার ধারেই বাড়ির লাগোয়া সাইকেল মেরামতের দোকান। লুঙ্গি গেঞ্জি পড়া ষাটোর্ধ সাইকেল মেকানিক।
সেই একাত্তর সাল থেকে সাইকেল সারাই করে চলেছেন। এখন চোখে একটু কম দেখেন, তবু যত্ন নিয়ে সাইকেলের লিক সারাতে সারাতে গর্বভরে বললেন, আজকাল যারা সাইকেল সারায়, তারা অনেকেই ঠিকমতো কাজটা জানে না, টেম্পোরারি কাজ করে। কথা প্রসঙ্গে বললেন, এই দেখুন এই গরমের মধ্যে ডিজে বক্স লাগিয়ে ভয়ংকর শব্দে বাজারে যে কীর্তন চলছে তার জ্বালায় টেঁকা দায়। আমার হার্টের অসুখ, কী করি বলুন। ভোটের কথায় বললেন, ‘আমি অত ভোটের মধ্যে নেই। কারো কাছে যাই না। লোন দাও কি ঘর দাও বলি না কাউকে। রাজনীতি করিনা।
এরপর নাম জিজ্ঞেস করতেই বললেন, আমার নাম নাই। কেন? নাম দিয়া কী হবে! তবু দু-এক কথা বলতে বলতে অবশেষে বললেন, আমার নাম হীরা, বাবা দিয়েছিল।
নোটা
বাড়ির মধ্যেই ছোট্ট ভাঙাচোরা সেলুন ঘর তাঁর, শরীরও তেমন সুস্থ নয়। শ্বাসকষ্ট, তবুও হাতের কাজ করেই যান নিয়মিত। চুল দাড়ি কাটেন। আশেপাশের মানুষজন তাঁর কাছে আসে। বেশি একটা ভিড় হয়না যদিও।
কথা প্রসঙ্গে বললেন, এই যে ভোটে একটা নতুন বোতাম, নোটা (‘ওপরের কাউকেই পছন্দ নয়’), হল, তাতে কী হল? কয়জন আর ওই বোতাম টিপবে? দেখবেন, লোকে সেই ‘ওদের’ই ভোট দেবে।
Leave a Reply