শমিত, শান্তিপুর, ১৪ অক্টোবর#
মফস্সল শহর ও শহরতলিতে ব্যাটারিচালিত দূষণহীন, শব্দহীন রিকশার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত মাস দুয়েকের মধ্যে আমাদের শহর শান্তিপুরে এই রিকশার সংখ্যা প্রায় ২০ ছাড়িয়ে গেছে। নদিয়ার সদর শহর কৃষ্ণনগরে কয়েকশো ব্যাটারিচালিত রিকশা সাধারণ যাত্রীদের পরিষেবা দিচ্ছে। অপরদিকে পায়ে টানা রিকশা ও ভ্যানরিকশা যারা চালায়, তারা বেশ বেকায়দায় পড়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের সঙ্গে ভ্যানরিকশা চালক ও সাধারণ রিকশা চালকদের প্রায় প্রতিদিন ঝঞ্ঝাট বাধতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় পৌরসভাকে এই ব্যাপারে কোনো সক্রিয় উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের এখনও রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করতে পারেনি শান্তিপুর পৌরসভা। অথচ পায়ে টানা রিকশা ও ভ্যান রিকশা চালকদের পৌরসভার রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ স্বীকৃতি রয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশার জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বাড়ার ফলে সাধারণ রিকশা ও ভ্যানরিকশা চালকদের রুজিতে টান পড়ছে। ওই সমস্ত চালকেরা দিনে দিনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। সেই কারণে অশান্তিও বাড়ছে। অশান্তি মারামারির পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। এব্যাপারে পৌরসভার এক্ষুনি সক্রিয়তা দেখানো প্রয়োজন।
সম্প্রতি কৃষ্ণনগর শহরে যাওয়ার সুবাদে কথা হল ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক রফিক সেখের সঙ্গে। আমরা তিনজন তাঁর রিকশার সওয়ার ছিলাম। ৩০ টাকার বিনিময়ে তিনি আমাদের কৃষ্ণনগর স্টেশনে পৌঁছে দিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানলাম, প্রতিদিন তিনি ৬০০ টাকা উপার্জন করতে পারছেন। এই রিকশার কোনো রুট পারমিশন নেই। তবে হাইওয়েতে রিকশা চালানোর একটা অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আছে। দিন পনেরো আগে স্থানীয় এক গ্যারেজ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় রিকশাটি কিনেছেন রফিক। তিনি জানান, এই রিকশার চারটি ব্যাটারি দিনে রাতে ১০ ঘণ্টা চার্জ দিতে হয়।
অপরদিকে শান্তিপুর শহরের ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক ফেলা (গোপাল নন্দী) বললেন, শহরের মধ্যে এপাড়া ওপাড়া মাথাপিছু ১০ টাকা ভাড়া হলেও একটু দূরের যাত্রীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২৫-৩০ টাকাও আসছে। ইনিও দিন দশেক আগে রিকশা নামিয়েছেন রাস্তায়। তবে কোথাও এখনও কোনো রাজনৈতিক দল ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের সংঘবদ্ধ করে ইউনিয়ন গড়তে পারেনি।
Leave a Reply