ইএম বাইপাসের গায়ে পাটুলি থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত হাজার খানেক হকার উচ্ছেদ হওয়ার পর তারা আবার নিজেদের জায়গাগুলোতেই অস্থায়ী ভাবে বসছে। অনেকে ভয়ে জায়গা বদল করে আশেপাশের ণ্ণব্যক্তিগত জায়গা’য় বসে পড়ছিল। পুলিশ এসে এই অস্থায়ীভাবে বসতে চাওয়া হকারদের কাছে কয়েকশো করে টাকা তোলা হিসেবে দাবি করতে থাকে। হকাররা স্থানীয় নেতা অনাদি সাহার নেতৃত্বে হকার সংগ্রাম কমিটির সহায়তায় স্থানীয় বিভিন্ন থানায় ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি নেয়।
৯ এপ্রিল সার্ভে পার্ক থানায় কয়েকশো হকার সন্ধ্যেবেলা অবস্থান করে খালি গলায় সভা করে। সেখানে বক্তব্য রাখেন অনাদি সাহা, হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা মুরাদ হোসেন, এপিডিআর দক্ষিণ কলকাতা শাখার প্রশান্ত হালদার প্রমুখ। বক্তারা সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশনামার উল্লেখ করে বলেন, হকাররা শহরের রাস্তায় বেআইনি নয়। অস্থায়ী কাঠামোয় হকারদের বসার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। যতক্ষণ না রাজ্য সরকার পৃথক হকার নীতি তৈরি করছে, ততক্ষণ এই নির্দেশ মানতে তারা বাধ্য। হকারদের ওপর পুলিশের জুলুমবাজি তোলাবাজি চলবে না।
এই সভার শেষে মোট নয়জনের প্রতিনিধিদল থানার অফিসারের সঙ্গে দেখা করে। অফিসার তাদের বলেন, আপাতত হকাররা অস্থায়ী কাঠামো নিয়ে বসুক। যার যেখানে দোকান ছিল সেখানেই বসুক। অন্য জায়গায় যেন না বসে। সামনে টেবিল বা টুল পাততে পারে তারা, খদ্দেরদের বসার জন্য। তবে থানায় ওপর থেকে চাপ আসছে, ইনসপেকশন আসছে। তাই হকাররা যেন ওপরে গিয়েও নালিশ জানায়। হকারদের প্রতিনিধিদল থানার কাছে হকারদের একটি লিস্ট দেয়।
তবে থানার অফিসার পুলিশের তোলাবাজির কথা স্বীকার করেননি।
শমীক সরকার, কলকাতা, ৯ এপ্রিল, সার্ভে পার্ক থানার সামনে হকার বিক্ষোভের ছবি প্রতিবেদকের তোলা
Leave a Reply