সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১৫ অক্টোবর#
ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইবুনাল (পূর্বাঞ্চল বেঞ্চ) একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে পূর্ব রেলওয়ের সমস্ত স্টেশনে যাত্রীদের জন্য ছাউনি বানানোর সময় গাছ কাটার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। ১৭ সেপ্টেম্বর পি জ্যোতিমানি এবং পি সি মিশ্রএই রায় দিয়েছেন। রায়ে আরো বলা হয়েছে, পূর্ব রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের পরবর্তী শুনানির দিন কিছু বিষয়ে তথ্য নিয়ে আসেন, যেমন, আরো কতগুলো স্টেশনে যাত্রী ছাউনি বানানোর কথা আছে, কতগুলো গাছ সেজন্য কাটার কথা, সেগুলো কাটার পরিবর্তে তার দশগুণ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গৃহিত হয়েছে কিনা এবং হয়ে থাকলে কোথায় তা করা হবে, গাছ না কেটে বা সামান্য ছেঁটে যাত্রী ছাউনি করা যায় কি না।
হাওড়া ডিভিশনের বালি স্টেশনে যাত্রীদের জন্য ছাউনি করার সময় বড়ো গাছ কাটার বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েও পূর্ব রেলওয়ের কাছ থেকে কোনো সুরাহা না পাওয়ায় ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শঙ্কর প্রসাদ হাজরা এবং শান্তনু চক্রবর্তী। ট্রাইবুনালকে তারা জানিয়েছিলেন, গাছও তো বহু পাখির আশ্রয় / ছাউনি হিসেবে কাজ করে, এবং বাতাসকে দূষণমুক্ত করে। বেশ কিছু রেলস্টেশনে (কেরালার পালাক্কার-এ, বাঙ্গালোরের কাছে আনেকাল স্টেশনে, গোয়ার কুলাম স্টেশনে, অন্ধ্র প্রদেশের পালাসায়, কেরালার কানহানগড় এবং গুড়গাঁও রেলস্টেশনে) গাছ বাঁচিয়ে ছাউনি বানানোর ছবিও তারা দিয়েছিলেন ট্রাইবুনালের কাছে।
Leave a Reply