৩০ মার্চ, আবুল আহাদ মোল্লা, রাজাবাগান, মেটিয়াবুরুজ#
কলকাতা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (KISS) ইউনিয়নের অন্তর্গত সিকিউরিটি গার্ডদের অবস্থা অতীব দুর্ভাগ্যজনক। সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হল মাইনেপত্র এবং ডিউটির কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। প্রথমত, পঁয়তাল্লিশ দিন কাজ করলে ত্রিশ দিনের মাইনে দেওয়া হয়, পনেরো দিনের মাইনে কেটে হাতে রাখা হয়। দ্বিতীয়ত, আটঘণ্টার ডিউটির জায়গায় বারোঘণ্টার ডিউটি দেওয়া হয়। আবার সিকিউরিটির ইউনিফর্মের জন্য কোনো জায়গায় ৩৫০০ টাকা জমা নেয় অথবা কোনো কোম্পানি কম-সে-কম ২০০০ টাকা মাইনে থেকে কেটে নেয়। যে কোম্পানি ৩৫০০ টাকা জমা নেয়, তারা ট্রেনিংয়ের দরুণ ১০০০ টাকা নেয়। সর্বোচ্চ মাইনে ৭০০০ টাকা। খাওয়া খরচ বাদ যায়। থাকার জন্য যে ঘর দেওয়া হয়, তা গোয়ালঘরের শামিল। অবশ্য গ্রামের গোয়ালঘর এখন খুব উন্নত! ইলেকট্রিকের কোনো বালাই নেই।
নিরাপত্তারক্ষীদের এখন নিরাপত্তার প্রয়োজন। তাদের প্রশ্ন, পনেরো দিনের মাইনে কেন কেটে রাখা হবে? এটা কি ভারত সরকারের আইনসম্মত? নাকি নেতাদের প্রশ্রয়-পুষ্ট? সুপারভাইজরের কাছে জানতে চাইলে সাফ সাফ জবাব দিয়েছেন, আমাদের যে কলকাতা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস ইউনিয়নের আইন এটা। কেউ যদি কিছুদিন কাজ করে চলে যায় তার মাইনে দেওয়া হবে না, আর ইউনিফর্মের টাকা তাকে শোধ করে যেতে হবে। ভালো কথা! তাহলে কি এই সংস্থার গার্ডেরা কি তাদের কেনা গোলাম? নাকি তারা কোনো নতুন ইন্ডাস্ট্রিয়াল রুল্স তৈরি করছে?
জীবিকার এইরকম নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে কোনো স্টাফ খুব বেশিদিন থাকতে পারে না। যারা অন্যদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা রক্ষা করে, তাদের নিরাপত্তা কে রক্ষা করবে?
Leave a Reply